Sunday 08 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আমলাতান্ত্রিকতায় বন্দি ‘আমাই’, উদ্যোগ নেই ভাষাচর্চা ও গবেষণার


২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:৪৩ | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:২৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

।। জান্নাতুল ফেরদৌসী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: মাতৃভাষার চর্চা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (আমাই)। পৃথিবীর সব ভাষা সংরক্ষণ ও হুমকিতে পড়া ভাষা বিস্তারের উদ্যোগ গ্রহণ, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ভাষাবিজ্ঞানী ও দোভাষী তৈরি করাও প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমের মধ্যে পড়ে। পাশাপাশি বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষার ওপর গবেষণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করাও ছিল আমাই-এর লক্ষ্য। আর তাই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে গড়ে তোলার কথা ছিল বিশ্বমানের পাঠাগার, ভাষা জাদুঘর ও আর্কাইভ। কিন্তু ভাষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৯ বছরেও দাঁড়াতে পারেনি আমাই। প্রশাসনিক পদগুলোতে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ হলেও গবেষকের বেশিরভাগ পদই ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ভাষা নিয়ে যেসব গবেষণা কার্যক্রম করার কথা ছিল, সেগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগও তেমন নেই।

বিজ্ঞাপন

দেশের জ্যেষ্ঠ ভাষাবিজ্ঞানী ও গবেষকরা বলছেন, বাংলাসহ বিশ্বের অন্যান্য ভাষা চর্চা বা উন্নয়নে সবচেয়ে বড় অবদান রাখার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। কিন্তু প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মন্থর গতি ও উদ্যোগহীনতা প্রতিষ্ঠানটিকে অকার্যকর করে তুলেছে। আমাই কর্তৃপক্ষ এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছে জনবল ও প্রচারের অভাবকে। তবে একুশে ফেব্রুয়ারির পরদিন উদ্বোধন হতে যাওয়া ভাষা আর্কাইভ বিশ্বের মধ্যে সেরা হবে বলে মনে করছে তারা। যদিও এর সঙ্গেও দ্বিমত পোষণ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

যেভাবে আমাইয়ের প্রতিষ্ঠা

ভাষা শহিদ ও বাঙালিদের বাংলা ভাষার আবেগের প্রতি জাতিসংঘের ইউনেসকো’র শ্রদ্ধার স্মারক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (আমাই)। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১ ফেয়াব্রুরি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পরের বছরই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। ১৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের অধীনে ২০০১ মার্চে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের উপস্থিতিতে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তবে সরকার বদল হলে ওই বছরই ভবনের নির্মাণ কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০০৪ সালে প্রকল্প সংশোধন করে ভবন নির্মাণ শেষ করার উদ্যোগ নেয় বিএনপি সরকার। শেষ পর্যন্ত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ৯ বছর পর ২০১০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবনটির উদ্বোধন করেন। এরপর পেরিয়ে গেছে ৯ বছর। কিন্তু ভাষা নিয়ে গবেষণার যে উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক ভাষা ইনস্টিটিউট, সেই লক্ষ্য অর্জন এখনও সুদূর পরাহত।

বছরে কী করেছে আমাই

ভাষাচর্চা, সংরক্ষণ, ভাষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ, হুমকির মুখে থাকা ভাষার বিস্তার, ভাষাবিজ্ঞানী তৈরির মতো লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হলেও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের চোখে পড়ার মতো তেমন কার্যক্রম নেই। এই প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে একটি ভাষা জাদুঘর গড়ে তোলা। প্রচারের অভাবে সেই জাদুঘরের কথাও জানেন না বেশিরভাগ মানুষ। এখন পর্যন্ত ইনস্টিটিউটের একমাত্র মৌলিক কাজ বাংলাদেশের নৃ-ভাষাবৈজ্ঞানিক সমীক্ষা। এই গবেষণার ফল ১০ খণ্ডে প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও একটি খণ্ড প্রকাশের পর বাকি খণ্ডগুলো আর আলোর মুখ দেখেনি। এর বাইরে একটি ভাষা আর্কাইভের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে আমাই, যা উদ্বোধন হওয়ার কথা ২২ ফেব্রুয়ারি। এর বাইরে কিছু বুলেটিন প্রকাশ ও স্কুলশিক্ষকদের ভাষা বিষয়ক কিছু প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।

আমাইএর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

ভাষাবিজ্ঞানী আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ সারাবাংলাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির নাম কিন্তু আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। এটা শুধু বাংলা ভাষা চর্চার জন্য তৈরি হয়নি। সারাবিশ্বের সব মাতৃভাষা, এমনকি বিপন্ন ভাষা রক্ষা ও ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের ব্যাখ্যা দেওয়াই এই প্রতিষ্ঠানেরই কাজ। চাইলে প্রতিষ্ঠানটি এত বছরে অনায়াসে কিছু মেধাবী ছেলেমেয়েদের নিয়োগ দিয়ে নিজস্ব ভাষাবিজ্ঞানী আর দোভাষী তৈরি করতে পারত। তারা পরবর্তী সময়ে ভাষা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে নিতে পারতেন। কারণ ভাষা গবেষণা বিশেষজ্ঞ ছাড়া সম্ভব নয়। এখানে যারা কাজ করবেন, তাদের সংস্কৃত, জার্মান, ফ্রেঞ্চ, আরবির মতো ভাষার জ্ঞান থাকতে হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ভাষাবিদ সাখাওয়াত আনসারি বলেন, এটি কেবল বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় দায়বদ্ধ। এই ধারণার সঙ্গেই আমি একমত নই। এখানে প্রধান ভাষা বাংলাকে গুরুত্ব না দিয়ে শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা নিয়েই কাজ চলছে। এতে বাংলা চর্চা দিনকে দিন পিছিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে একই ধরনের  অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, এমন একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের জন্য পরম পাওয়া। এর মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য ভাষা উন্নয়ন, চর্চা, সংগ্রহ, পুনরুদ্ধার, পুনরুজ্জীবন প্রভৃতি কাজও সম্ভব। কিন্তু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মতো এটিও রাজনৈতিক বিবেচনায় চললে এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা অসমীচীন নয়।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদের সাবেক সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক  ড. সৌরভ সিকদার বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মসূচিই এখনও সফলতার মুখ দেখেনি। সম্প্রতি ল্যাংগুয়েজ ডক্যুমেন্টেশনের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে কোনো বিশেষজ্ঞ এর সঙ্গে কাজ করছেন না। তাদের কাজে গতি আর নেতৃত্বে কর্ম উদ্দীপনার যথেষ্ট অভাব আছে। এখনকার কোন কাজেই দেশের ভাষাবিজ্ঞানীদের ডাকা বা তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়না। আছে আমলাতান্তিক প্রতিবন্ধকতাও। এটাকে স্বায়ত্তশাসিত ভাষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোটা তাই স্বপ্নই থেকে যাবে।

গবেষকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ এখনও ফাঁকা

যাত্রা শুরুর ৯ বছরেও আমাই-এর গবেষকসহ প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার বেশিরভাগ পদ এখনও শূন্য। দফায়  দফায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় নিয়োগ পিছিয়ে গেছে বলে গেছে বলে জানান আমাই-এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা।

ভাষাবিদ আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ সারাবাংলাকে বলেন, নিয়মিত বুলেটিন বা বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের ভাষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া এই প্রতিষ্ঠানের কাজ নয়। এত বছরেও মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কোনো গবেষক নিয়োগ করা হয়নি। অথচ তাদের প্রধান কাজই ছিল কিছু গবেষক বা বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া, যারা বিষয়ভিত্তিক গবেষণার কাজ করবেন।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদের সাবেক সদস্য ড. সৌরভ সিকদার বলেন, আমি এটিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরে পালিত কন্যা বলব। এই প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রমই মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে। আমার গবেষণা কাজের টাকা ছাড় পেতেই সময় লেগেছে একবছর। এটি মূলত একটি মাথাভারি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এখানে উচুঁ পদে সবাই আমলা। আর সরকারি বিধিনিষেধের কারণে নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ও বেতন-ভাতার সমস্যা তো রয়েই গেছে। যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ পদে এত বছরেও কোনো গবেষক বা বিশেষজ্ঞ নিয়োগ হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী বলেন, এটা সত্যি, এখনও গবেষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার অনেক পদই ফাঁকা। কিন্তু আমরা আউটসোর্সিং করে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। দুয়েকমাসের মধ্যেই প্রথম সারির কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

আলোর মুখ দেখেনি একমাত্র মৌলিক কাজ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের একমাত্র মৌলিক কাজ হিসেবে ২০১৪ সালে শুরু হয় ‘বাংলাদেশের নৃভাষাবৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় গবেষণা কার্যক্রম ১০ খণ্ডে প্রকাশিত হওযার কথা ছিল। জানা গেছে, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ৪১টি মাতৃভাষা ও চারটি ভাষা পরিবারের বর্ণনা নিয়ে তিনটি খণ্ডের কাজ শেষ করেছেন ভাষাবিজ্ঞানী ড. সৌরভ সিকদার। এছাড়া বাকি সাত খণ্ডে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিচয় ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে গবেষণা কাজ শেষ করেছেন একজন নৃবিজ্ঞানী। এসব খণ্ডের মধ্যে কেবল প্রথম খণ্ড প্রকাশ হয়েছে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু বাকি খণ্ডগুলো এখনও আলোর মুখ দেখেনি।

৩ কোটি ৪ লাখ টাকার এই গবেষণা প্রকল্প নিয়ে গবেষণা সম্পাদক সৌরভ সিকদার বলেন, এই প্রকল্প এখনও আলোর মুখ দেখেনি। গত বছর এক খণ্ড প্রকাশিত হলেও তা বাজারে আসেনি। সাধারণ মানুষের কাছে সেটিও কবে পৌঁছাবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আর বাকি খণ্ডগুলো কবে প্রকাশ পাবে, তাও জানি না।

অপ্রচারিত ভাষা জাদুঘর, গবেষক ছাড়াই তৈরি হচ্ছে ভাষা আর্কাইভ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের একমাত্র সফল উদ্যোগ বলা যেতে পারে ভাষা জাদুঘরকে। বিশ্বের ৬৬টি ভাষার তথ্যসমৃদ্ধ এই ভাষা সংগ্রহশালা গড়ে তোলা হয়েছে ইনস্টিটিউটের নিচতলাতেই। কিন্তু এই ভাষা জাদুঘর নিয়েও নেই প্রচার। জাদুঘরের রেজিস্ট্রার বুকেও দেখা যায়, এখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা খুব কম আর অনিয়মিত।

সমৃদ্ধ এই সংগ্রহশালায় দর্শনার্থী এত কম কেন— জানতে চাইলে ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী বলেন, আমাদের লোকবলের অভাব আছে। তবে জাদুঘরটির ব্যাপক প্রচারের জন্য সম্প্রতি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

ভাষা জাদুঘরের প্রচার-প্রসার না থাকলেও এরই মধ্যে একটি ভাষা আর্কাইভের কাজ এগিয়ে নিয়েছে আমাই। ২১ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন হতে যাওয়া এই ভাষা আর্কাইভে রাখা হয়েছে বর্ণভিত্তিক লিখন রীতি বা লিখন ও এর বিবর্তন। আছে ক্যালিগ্রাফির পরিচয়, সমাধি লিখন। বিশ্বের বিভিন্ন বর্ণমালা কিভাবে মূললিপি থেকে বিবর্তিত হয়েছে, তার বর্ণনাও রয়েছে। ব্রেইল, সাইন ল্যাংগুয়েজের ডিসপ্লেসহ স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতার হাতের লেখা, বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির হাতে লেখা কবিতা। মহাপরিচালক নিজেই এই আর্কাইভের গবেষক। তিনি মনে করছেন, এটি হবে বিশ্বের সেরা একটি আর্কাইভ।

যদিও মহাপরিচালকের মতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এমন আর্কাইভ নতুন কিছু নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাদুঘরের মধ্যেই এমন আর্কাইভ থাকে। সেসব আর্কাইভে অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট দর্শনার্থীদের আকৃষ্টও করে। কিন্তু কেবল লেখ্য রীতি নিয়ে তৈরি আর্কাইভ দর্শনার্থীদের কাছে তেমন আকর্ষণীয় হবে না। একে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে হবে। আর্কাইভ তৈরির নামে যেনতেন কিছু একটা করা হচ্ছে— এমন যেন না হয়।

ভাষাবিদ আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ এ বিষয়ে বলেন, এসব আর্কাইভে থাকবে দুর্লভ সব সংগ্রহ। বিভিন্ন দেশে এসব আর্কাইভে দুর্লভ সব ভিডিওচিত্রও দেখানো হয়। এখানে তা নেই। তাছাড়া যে ভাষা জাদুঘরটি তৈরি করা হয়েছে, সেটিই প্রচারের অভাবে দর্শনার্থী সংকটে ভুগছে। তাই প্রচারের দিকটিতেও মনোযোগ দিতে হবে।

এই ভাষাবিদ আরও বলেন, ভাষা জাদুঘর বা আর্কাইভও একটি ভাষা বা ভাষাচর্চাকে এগিয়ে নিতে পারে। কিন্তু আমরা এ ক্ষেত্রে এগুতে পারছি না, দুর্বলতার পরিচয় দিচ্ছি। আমরা এক জায়গায় থেমে আছি।

সারাবাংলা/জেডএফ/টিআর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর