টেকনাফে র্যাব-বিজিবি’র সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ২
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:১৮
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাব-বিজিবি’র সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে আনসার কমান্ডার হত্যাকারী ও মাদক ব্যবসায়ী নিহত। অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার।
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফের দমদমিয়া পাড়ায় র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় আনসার ক্যাম্পে লুট ও কমান্ডার হত্যাকারী রোহিঙ্গা ডাকাত নুরুল আলম। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ২ টি বিদেশী পিস্তল, ২ টি ম্যাগাজিন ও ১৩ রাউন্ড তাজা গুলি। নিহত নুরুল আলম কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
অন্যদিকে, একইদিন সকালে সাবরাং এর কাটাবনিয়া এলাকায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ইয়াবা ব্যবসায়ী বেল্লাল হোসেন (২৫)। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ৯ হাজার ইয়াবা। নিহত বেল্লাল হোসেন লক্ষীপুর সদরের শাবকচার এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
কক্সবাজার র্যাব-৭ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, ২০১৬ সালের ১৩ মে ভোর রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়ার মুচনী এলাকার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলা চালায় এক দল দুর্বৃত্ত। এতে নিহত হন আনসার ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আলী হোসেন। লুট করা হয় ১১টি বিভিন্ন ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৭০টি গুলি। ওই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল বন্দুকযুদ্ধে নিহত নুরুল আলম।
আজকের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, সকালে দমদমিয়া এলাকায় একদল র্যব সদস্য টহলরত অবস্থায় কিছু দিন আগে জেল থেকে বের হওয়া নুরুল আলম ও তার লোকজন র্যাবকে লক্ষ করে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নুরুল আলমের লাশ পাওয়া যায়। আর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় অস্ত্র ও গুলি। নিহতের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, টেকনাফের ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আছাদুদ-জামান চৌধুরী জানান, আগের দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় উখিয়ার মরিচ্যায় তল্লাশী চৌকিতে ইয়াবাসহ আটক করে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির সদস্যরা। এরপর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে গেলে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে তার গ্রুপের লোকজন। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও গুলি চালায়। পরে বেল্লালের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। আর ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
সারাবাংলা/জেএএম