Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শহরে নেতাকে ‘অপহরণ’, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে মারামারি


২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:১৫

।।চবি করেসপন্ডেন্ট।।

চবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতাকে তুলে নিয়ে মারধরের জেরে ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর ফটকের সামনে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কে অবরোধের ঘটনাও ঘটেছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাত থেকে শনিবার দুপুরের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু’র বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান থেকে রাত পৌনে ১১টার দিকে বের হওয়ার পর নগরীর লালখান বাজার মোড় থেকে ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি গোলাম রসুল নিশানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিশানের অনুসারী নেতাকর্মীরা তাকে নগরীর ঝাউতলা রেলস্টেশনের পাশে পাহাড় থেকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নিশানের অনুসারীদের অভিযোগ, তাকে তুলে নিয়ে মারধর করেছে বগিভিত্তিক গ্রুপ ‘সিক্সটি নাইন’র নেতা মনসুর আলম ও আবু তোরাব পরশ এবং তাদের অনুসারীরা।

নিশান ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক গ্রুপ ‘উল্কা’র নেতা। তাকে অপহরণের খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে রাতেই উল্কা-গ্রুপের নেতাকর্মীরা জিরো পয়েন্ট ও এক নম্বর ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় সড়ক অবরোধ করা হলেও আধাঘন্টা পর পুলিশ গিয়ে তাদের তুলে দেয়।

বিজ্ঞাপন

এরপর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ফিরে উল্কা ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপে জড়ায়। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন, যাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

চবি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক টিপু সুলতান সারাবাংলাকে জানান, আহতদের মধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

মেডিকেল সেন্টারে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন- সাংবাদিকতা বিভাগের অভয় ও শামীম, পদার্থবিদ্যা বিভাগের আনিস, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অর্ণব ইসলাম, আরবি বিভাগের ধ্রুব, লোকপ্রশাসন বিভাগের সৌরভ তালুকদার, মাহমুদ ইসলাম ও মামুন ইসলাম এবং হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সাদ্দাম হোসেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো তিন শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া যায়নি।

এদিকে রাতে সংঘাতের পর শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে শাহজালাল ছাত্রাবাসের সামনে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এসময় এক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

জানতে চাইলে চবি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আক্তারুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, মূল ঘটনা ঘটেছে শহরে। শহরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্কা গ্রুপের নেতা সুমন খান সারাবাংলাকে বলেন, আলমগীর টিপু’র বিয়ের দাওয়াত শেষে ফেরার সময় মনসুর আলম ও আবু তোরাব পরশের নেতৃত্বে আমাদের নেতা গোলাম রসুল নিশানকে অপহরণ করে এবং আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। এর প্রতিবাদে আমরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছি।

সিক্সটি নাইন’র নেতা মনসুর আলম সারাবাংলাকে বলেন, নিশানকে কে বা করা অপহরণ করেছে সে ব্যাপারে আমরা অবগত নয়। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

সারাবাংলা/সিসি/আরডি/এমএইচ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চবি মারামারি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর