Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সবাই পদোন্নতি চান কিন্তু দায়িত্ব নিতে চান না’


২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:৫৩

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা:  ‘সবাই পদোন্নতি পেতে চান, কিন্তু দায়িত্ব নিতে চান না। কেন কমিশনের অনুসন্ধান বা তদন্ত আইন অনুসারে নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না?  এর দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরই নিতে হবে।’

রোববার ( ২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনে এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে  কর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে করে বলেন,নিজে দুর্নীতিমুক্ত না থাকলে  কেউ শ্রদ্ধা করে না। এটাও সকলকে মাথায় রাখতে হবে। সবাই পদোন্নতি পেতে চান কিন্তু দায়িত্ব নিতে চান না। তিনি আরও বলেন,নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন না করার ব্যর্থতার জন্য কেউ কেউ হাজার হাজার অজুহাত দেখান। আবার এই প্রতিষ্ঠানেরই অনেক মেধাবী সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন যারা নির্ধারিত সময়েই মানসম্পন্ন তদন্ত সম্পন্ন করেছেন। তাহলে যারা ব্যর্থ হচ্ছেন তাদের সম্পর্কে মানুষের ধারণা কি হতে পারে। নিজেরাই নিজেদের মূল্যায়ন করুন। দুদকের নিজস্ব ক্যান্টিন রয়েছে তারপরও কেন আমাদের কেউ কেউ অন্য হোটেলে খেতে যান? আমি এর কারণ বুঝি না।

ইকবাল মাহমুদ আরও বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিপূর্ণভাবে ডকুমেন্ট বা কাগজ নির্ভর। দুদক আইন অনুসারে অনুসন্ধান বা তদন্ত কাজে কমিশনের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। যেকোনো ব্যক্তিকে অনুসন্ধান বা তদন্ত সংশ্লিষ্ট তথ্য সরবরাহ করার জন্য আইনি নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছ কমিশনের। তারপরও কেউ এই নির্দেশ না মানলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আইনি প্রক্রিয়ায় কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় প্রকার দণ্ড দেওয়ার বিধানও রয়েছে। তারপরও কেন কমিশনের অনুসন্ধান বা তদন্ত আইন অনুসারে নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হচ্ছে না। কেন কিছু কর্মকর্তা নির্ধারিত সময়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারছেন না ? এর দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরই নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

কমিশন ব্যাপকভাবে পদোন্নতি দিয়েছে। এখন সমন্বিতভাবে কাজ করার সময়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বিত কাজের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, নিজেই নিজেকে পরিবর্তন করতে হয়। পদ্ধতিগত কারণেই এদেশে ঘুষ খাওয়া সবচেয়ে সহজ কাজ। যাদের মান-সম্মানের ভয় নেই, আত্মমর্যাদা নেই তাদের পক্ষে ঘুষ খাওয়া সত্যিই সহজ। এই লজ্জাহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হলে দুদক কর্মকর্তাদের এমনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে যেন ঘুষ খোরদের আইনের আওতায় এনে লজ্জা দেওয়া যায়।

তিনি বলেন,পদ্ধতিগত সংস্কারে জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে ২৭টি প্রতিষ্ঠানি টিম গঠন করা হয়েছে। আমরা হাজার হাজার কর্মকর্তাকে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। প্রশিক্ষণের এই শিক্ষাগুলো যাতে নিজ নিজ কর্মে প্রতিফলন ঘটে সেগুলো মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ গ্রহণে যারা ব্যর্থ হবেন তাদের কমিশন আইন অনুযায়ী অন্য সংস্থায় পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, দুদকরে মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীসহ অনান্য কর্ম

কর্তারা।

সারাবাংলা/এসজে/জেডএফ

দুদক দুদক চেয়ারম্যান

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর