শাহ আমানতে উড়োজাহাজ ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় তদন্ত কমিটি
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২৩:২২
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ‘ময়ূরপঙ্খী’ ছিনতাইয়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোকাব্বির হোসেনের নেতৃত্বে একটি পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর নির্দেশে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন- ৮ মিনিটেই ‘পরাভূত’ উড়োজাহাজ ছিনতাইকারী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, রোববার বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে বিমান বাহিনী প্রথম জানতে পারে ছিনতাইয়ের কথা। ককপিট থেকে পাইলট বিষয়টি জানায় এটিসিকে। পরে বিমানটি ৫টা ৪১ মিনিটে জরুরি অবতরণ করে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা প্রাথমিকভাবে ঘটনা সামাল দেন। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনএস ইশা খাঁ থেকে প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন এসে উড়োজাহাজটিতে অভিযান চালায়।
আরও পড়ুন- কমান্ডো অভিযানে উড়োজাহাজ ‘ছিনতাইকারী’র মৃত্যু
অভিযান শেষে রাত পৌনে ৯টায় এক ব্রিফিংয়ে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী অস্ত্রধারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় উড়োজাহাজের যাত্রী, পাইলট বা ক্রুদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ছিনতাইকারীর বয়স ২৫ থেকে ২৬ বছর। তাকে দেখে প্রথমে বিদেশি বলে মনে করেন পাইলট। তবে তিনি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশি। তার সঙ্গে একটি পিস্তল ছিল। তবে তিনি যাত্রীদের কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করেননি। তিনি কেবল প্রধানমন্ত্রী ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে সন্ত্রাসীর কবলে বিমানের উড়োজাহাজ!
মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, ছিনতাইকারীকে নিবৃত্ত করার জন্য প্যারা কমান্ডো বাহিনী প্রথমে তাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্বাভাবিক অ্যাকশনে যায় প্যারা কমান্ডো। গোলাগুলিতে প্রথমে সে আহত হয়। পরে সে মারা যায়।
সারাবাংলা/এইচএ/টিআর
উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা উড়োজাহাজ ছিনতাই তদন্ত কমিটি শাহ আমানত বিমানবন্দর