।। হাসনাত শাহীন ।।
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে দিন দিন পৃথিবী ছোট থেকে আরও ছোট হয়ে আসছে। মানুষ এখন খুব সহজে জানতে পারছে এক দেশ থেকে আরেক দেশের নানান সব ঘটন-অঘটনসহ যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে। কেউ জানছে সরাসরি যে ভাষায় রচিত সেই ভাষায় এবং কেউ জানছে সেই ভাষা থেকে রূপান্তরিত হওয়া নিজ ভাষায়।
এক ভাষায় থেকে অন্য ভাষায় রুপান্তরিত হওয়া বা অনুদিত হওয়ার এই বিষয় শুধু বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে যাওয়া ঘটন-অঘটনের কথায় জানায় না; যুগে যুগে বিভিন্ন দেশের কবি-সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকেও অনুবাদের মাধ্যমে জানছে বিভিন্ন যুগ থেকেই। বাংলা সাহিত্যের সেই মধ্যযুগ থেকেই এই অনুবাদ সাহিত্যের শুরু। সেই সময়ে অনুবাদ হয়েছে প্রধানত সংস্কৃত থেকে (মহাভারত, রামায়ণ, ভাগবত), হিন্দী সাহিত্য থেকে এবং আরবি-ফারসি সাহিত্য থেকে।
প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের এই সময়ে এসেও বিদেশি ভাষা থেকে বাংলা ব্যাপক অনুবাদ হচ্ছে বিভিন্ন দেশের কবি-সাহিত্যিকদের বিভিন্ন সৃষ্টি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯’-এও প্রকাশিত হয়েছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অনুবাদের বই। যা আমাদের প্রকাশনা শিল্প এবং বইমেলাকে করেছে সমৃদ্ধ।
সেই ধারাবাহিকতায় অনুবাদ প্রকাশনার তালিকায় একের পর এক যুক্ত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কালজয়ী সাহিত্যিকদের আলোড়ন সৃষ্টিকারী রচনা। হোমার, সফোক্লিস থেকে শুরু করে উইলিয়াম শেক্সপিয়র, হাফিজ, শেলি, কিটস, বায়রন, মার্ক টোয়েন, সমারসেট মম, ম্যাক্সিম গোর্কি, মায়াকোভাস্কি, পাবলো নেরুদা, ইমরুল কায়েস, কাহলিল জিবরান, নাজিম হিকমত, নাগিব মাহফুজসহ হালের গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, হারুকি মুরাকামি, মারিও ভার্গাস ইয়োসা, খুশবন্ত সিং, স্টিফেন হকিং, রুডিয়ার্ড কিপলিং, অরুন্ধুতি রায়, ঝুম্পা লাহিড়ির রচনার অনুবাদের বই এখন পাওয়া যাচ্ছে একুশের বইমেলায়। প্রায় অধিকাংশ প্রকাশনা সংস্থা থেকেই প্রকাশিত হয়েছে এক বা একাধিক অনুদিত গ্রন্থ। প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ব্যাপকসংখ্যক অনুবাদের বই। আর এতে প্রকাশকরাও ভীষণ খুশি। এর ফলে বিশ্বসাহিত্যের সঙ্গে আমাদের একটি সেতুবন্ধন সৃস্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও সময় প্রকাশনে সত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, অনুবাদ বই সব সময় ভালো বিক্রি হয়। এবারও নতুন-পুরনো উভয় অনুবাদ বই-ই ভালো বিক্রি হচ্ছে।
ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের জহিরুল আবেদিন জুয়েল বলেন, বইপ্রেমীদের চাহিদার কথা ভেবেই এবারো বেশ কয়েকটি অনুবাদের বইমেলায় এনেছি। অনুবাদের ক্ষেত্রে আমরা খ্যাতিমান লেখক এবং বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী বইগুলোকে প্রাধান্য দিই।
রোদেলা প্রকাশনীর সত্বাধিকারী রিয়াজ খান সারাবাংলাকে বলেন, এবার আমরা প্রায় ১০টি অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশ করেছি। সবগুলো বই ভালো বিক্রি হচ্ছে। পাঠকরা এখন অনেকটা খুঁজে খুঁজে অনুবাদ গ্রন্থ কিনছেন।
যদিও এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২৫তম দিন পর্যন্ত বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্রে জমা পড়া অনুবাদ গ্রন্থের সংখ্যা মাত্র ৩৩টি; যা গতবারের চেয়ে ১৬টি বেশি। এ বিষয়ে নালন্দা প্রকাশনীর সত্বাধিকারী রেদওয়ানুর রহমান জুয়েল বলেন, প্রতিবছরই বই রমলায় বিশেষ কিছু পাঠকদের চাহিদা লক্ষ্য করা যায় অনুবাদের বইয়ের প্রতি। সেই চাহিদা পূরণ করতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এ বছর আমরা প্রায় ১০টি অনুবাদগ্রন্থ প্রকাশ করেছি। এর সবগুলো বই এখনও বাংলা একাডেমির তথ্য কেন্দ্রে জমা দেওয়া হয়নি। আমরা মনে অন্যান্য প্রকাশনা সংস্থাগুলোরও একই অবস্থা। নানা ব্যস্ততার কারণে সব বই একাডেমির তথ্য কেন্দ্র জমা দিতে পারে না।
এবারের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার মধ্যে ইত্যাদি গ্রন্থ কেন্দ্র প্রকাশ করেছে-মাহবুব উল আলমের অনুদিত পাওলো কোয়েলহর ‘দ্য স্পাই’, সোহরাব সুমনের অনুবাদে এনিড ব্লাইটনের ‘দ্য সিক্রেট আইল্যান্ড’, ফজল হাসানের অনুদিত ‘অ্যাক্রস দ্য কন্টিনেন্ট: আফ্রিকার শ্রেষ্ঠ গল্প’ ও মো. আবুদল লতিফের অনুবাদে ‘দ্য গ্রেটেস্ট সিক্রেট ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’। সময় প্রকাশন থেকে সুরাইয়া ফারজানা হাসানের অনুবাদে প্রকাশিত হয়েছে গাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের ‘তিন দশকের গল্প’ ও সাউদ হাসান দারার অনুবাদে ‘অ্যারাবিয়ান নাইটস্’। আগামী প্রকাশনী এনেছে ‘সোফোক্লিসের ট্রাজেডি’র তিনটি পাঠ, এর প্রথম পাঠ হলো: ‘রাজা ইদিপাস’, ২য় পাঠ ‘মুসাফির ইদিপাস’ এবং ৩য় পাঠ হলো ‘আন্তিগোনি’। বই তিনটির অনুবাদ করেছেন শাহনেওয়াজ কবির।
প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য প্রকাশ করেছে সৈয়দ শামসুল হকে অনুদিত হাফিজের কবিতা ‘সরাই শরাব সাকি: তৃষিতের ঠোঁট’, সফিকুন্নবী সামাদী অনুদিত উর্দুকবি গুলযারের কবিতা ‘ত্রিবেণী’, সালেহ ফুয়াদের অনুদিত সাদাত হাসান মান্টো’র বই ‘স্যাম চাচাকে লেখা মান্টোর চিঠি’ এবং ফিরোজ আহমেদের অনুদিত আন্তন চেখভের ‘আমার জীবন’। এছাড়াও একই প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে খসরু চৌধুরী অনুদিত বেশ কয়েকটি বই। এর মধ্যে রয়েছে-কোরালি ইয়ংগারের ‘উইকেড উমেন অব দ্য রাজ (রাজশাসনের দুর্বৃত্ত মহিলারা)’, মেরী শেলী’র ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টােইন’, রাডইয়ার্ড কিপলিং-এর ‘দ্য জাঙ্গল বুকস্’ এবং পিয়েরে বুলে’র ‘দ্য ব্রিজ অন দ্য রিভার কওয়াই’ ইত্যাদি।
অন্বেষা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে-আফরানুল ইসলাম সিয়ামের অনুদিত উইল অ্যাডামসের বই ‘দ্য আলেকজান্ডার সাইফার’ ও অঞ্জলি সরকারের অনুবাদে বারাক ওবামা’র বই ‘ড্রিমস ফ্রম মাই ফাদার’। তাম্রলিপি থেকে প্রকাশিত হয়েছে অনীশ দাস অপুর অনুবাদকৃত দুটি বই। এর একটি ‘গোস্ট হাউস’ এবং অন্য ‘আউট অফ দ্য ডিপস’।
রোদেলা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে- মাহেদ জামানের অনুবাদে থিচ নাত হানের বই ‘ওল্ডপাথ হোয়াইট ক্লাউডস্ (গৌতম বুদ্ধের সাথে পথ চলা), কাজী আখতারউদ্দিনের অনুবাদে জি এন হেনটি’র পলাশীর যুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত বই ‘উইত ক্লাইভ ইন্ ইন্ডিয়া’, সায়েম সোলায়মানের অনুবাদে ডেভিড বালড্যাসি’র অ্যামোস ডেকার সিরিজের ‘মেমোরি ম্যান’, সালমান হকের অনুবাদে এলিফ শাফাকের বিখ্যাত সামাজিক উপন্যাস ‘অনার’, সাঈম শামস্-এর অনুবাদে রিক রাইঅর্ডানের ‘দ্য পিরামিড’ এবং আরিফ জাহানের অনুবাদে রিক রাইঅর্ডানের দুটি বই ‘দ্য থ্রোন অফ ফায়ার’ ও ‘দ্য সার্পেন্টস শ্যাডো’-সহ বেশ কয়েকজনের অনুবাদে বিশ্বসাহিত্যের বেশ কয়েকটি বই।
অবসর থেকে প্রকাশিত হয়েছে-কৌশিক জামানের অনুবাদে হারুকি মুরাকামি’র বই ‘স্পুটনিক সুইটহার্ট’, মলয় পাঁড়ের অনুবাদে নাগিব মাহফুজের ‘লাভ ইন দ্য রেইন’, শরিফুল ইসলামের অনুবাদকৃত এইচ জি ওয়েলস-এর বই ‘দ্য ইনজিবল ম্যান’, তামান্না মিনহাজের অনুবাদে রুডিয়ার্ড কিপলিংয়ের ‘দ্য জঙ্গল বুকস্’ ইত্যাদি। কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে- আন্দালিব রাশদী’র অনুবাদে ‘মাতিলদা’, আখতার হুসেনের অনুবাদে ‘ইংল্যান্ডের রূপকথা’, ইউক্রেনের রূপকথা’, ‘ইতালির রূপকথা’ ও সাজ্জাদ কবিরের অনুবাদে তিনটি বই ‘রূপকথা রাজ্যে’ ও সায়েন্স ফিকশন বই ‘গুড বাই টু আর্থ’ এবং ‘তারায় তারায় যুদ্ধ’ ইত্যাদি অনুবাদ বই।
প্রকাশনা সংস্থা নালন্দা থেকে প্রকাশিত হয়েছে-অজিত কৃষ্ণ বসু’র অনুবাদে নাথানিয়েল হর্থনের ‘দ্য স্কার্লেট লেটার’, জাহিদুল ইসলামের অনুবাদে এরিখ মারিয়া রেমার্কের ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’, কে পি ইমনের অনুবাদে কেন ব্লানচার্ডের বই ‘দ্য ওয়ান মিনিট ম্যানেজার’, চার্লস ডুহিগের ‘দ্য পাওয়ার অব হ্যাবিট’, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর অনুবাদে খুশবন্ত সিংহের ‘আই শ্যাল নট ইয়ার দ্য নাইটেঙ্গেল’ এবং সাখাওয়াত হোসেন সৈকতের অনুবাদে এরিখ মারিয়া রেমার্কের-‘থ্রি কমরেডস’, ‘ফ্লটসাম’ ও ‘এ টাইম টু লাভ অ্যান্ড এ টাইম টু ডাই’ বইগুলো।
এছাড়াও বেঙ্গল পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে সুব্রত বড়ুয়া ও ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী’র সম্পাদনা গ্রন্থ ‘স্টিফেন হকিং বিজ্ঞানী ও মানুষ’, আহমদ পাবলিশিং হাউজ প্রকাশ করেছে সীতা রাম পান্ডের ‘সিপাহি থেকে সুবেদার’; অনুবাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। প্রথমা প্রকাশন থেকে বেরিয়েছে জাহীদ রেজা নূরের সংকলন ও রুশ থেকে অনুবাদে প্রকাশিত হয়েছে ‘তিন প্রেমিকার মায়াকোভস্কি’।
২০১৮ সালের বইমেলার কিছু অনুবাদ গ্রন্থ: প্রকাশনা সংস্থা নালন্দা থেকে প্রকাশিত হয়েছে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর অনুবাদে নিকোলাও মানুচির গ্রন্থ ‘মানুচির চোখে মোঘল ভারত’, উইলিয়াম ড্যালরিম্পেল ‘দ্যা ওয়াইট মোগলস’, নাগীব মাহফুজের ‘কায়রো ট্রিলজি (প্যালেস অব ডিজায়ার)’, খুশবন্ত সিং এর ‘প্যারাডাইজ অ্যান্ড আদার স্টোরিজ’, নজরুল কবিরের অনুবাদে জন বিংহ্যামের রহস্য উপন্যাস ‘মার্ডার প্ল্যান সিক্স’ নালন্দা অনুবাদ সেল থেকে অনুদিত জেমস হেডলিচেজের রহস্য উপন্যাস ‘কাম ইজ গো ইজি’সহ চল্লিশটি অনুবাদ গ্রন্থ। ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ফজল হাসানের অনুবাদে ‘ভিনদেশি নির্বাচিত প্রেমের গল্প’, সোহরাব সুমনের অনুবাদে ‘ইতালির শ্যেষ্ঠ গল্প’, গোলাম রহমানের অনুবাদে পাওলো কোয়েলহো রচিত গ্রন্থ ‘ইলেভেন মিনিটস্’ এবং কাজি জহিরুল ইসলামের অনুবাদে ‘জালালুদ্দিন রুমির কবিতা’ সহ আরও অনেক বই। তাম্রলিপি থেকে প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২১জন নারী কবির কবিতা নিয়ে গুলতেকিন খানের অনুবাদ গ্রন্থ ‘দূর দ্রাঘিমায়’, অন্বেষা থেকে অব্দুল্যাহ আদিল মাহমুদের অনুবাদে প্রকাশিত হয়েছে স্টিফেন হকিং ও লিওনার্ড ম্লোডিনো যৌথভাবে রচিত ‘অ্যা ব্রিফার হিস্ট্রি অব টাইম’ ও আহমাদ উল্লাহ ফয়সালের অনুবাদে জেমস ডি ওয়াটসনের গ্রন্থ ‘দ্য ডাবল হেলিক্স’, অনিন্দ্য থেকে ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদের অনুবাদে প্রকাশিত হয়েছে হামদুর রহমান কমিশনের বাছাইকৃত প্রতিবেদন ‘১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীন বাংলাদেশের আবির্ভাব: পাকিস্তানের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া’, প্রকাশনা সংস্থা রোদেলা থেকে প্রকাশিত হয়েছে অনিন্দিতা গুপ্ত রায়ের অনুবাদে মায়া অ্যঞ্জেল্যু’র ‘নির্বাচিত কবিতা’, নাভিদ হোসেনের অনুবাদে মাইকেল ক্রাইটনের ‘স্ফেয়ার’, মাহিদা মৌ ও রাফায়েত রহমান রাতুলের যৌথ অনুবাদে জেমস রোলন্সের গ্রন্থ ‘এক্সক্যাভেশন’ সহ বেশ কয়েকটি বই, প্রতিক প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে সাযযাদ কাদিরের অনুবাদ গ্রন্থ হোমারের ‘ইলিয়াড’, বিদ্যাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ফারহানা আজিম শিউলী’র অনুবাদ গ্রন্থ পাওলো কোয়েলহো’র ‘দ্য অ্যালকেমিস্ট’, উৎস প্রকাশন থেকে গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া’র অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে জে টি রেংকিনের ‘ঢাকা ডায়েরি: সতেরো ও আঠারো শতকের বাংলা’ এবং কথা প্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে আন্দালিব রাশদী’র অনুবাদ গ্রন্থ ‘খুশবন্ত সিং ১ ও ২’। এছাড়াও এবারের বইমেলায় বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা থেকে এসেছে পৃথিবীখ্যাত বিভিন্ন কবি-লেখকদের বিভিন্ন গ্রন্থের অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সারাবাংলা/এমআই