Wednesday 22 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেবিচকের জিম্মায় সেই বিমান, মামলা তদন্তে কাউন্টার টেরোরিজম


২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:১৭ | আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:২৫

সন্ত্রাসের কবলে পড়া বিমানটির আরও কাছাকাছি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে। তদন্তে নেমে প্রথমেই আলামত হিসেবে বিমানটি জব্দ করে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। গতকাল (সোমবার) রাতে নগরীর পতেঙ্গা থানায় এ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন, সিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া।

সিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সারাবাংলাকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার মতো ঘটনার মামলা এই প্রথম পাওয়া গেছে। যেহেতু স্পর্শকাতর একটি ঘটনা, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।”

সূত্র জানায়, তদন্তকারী কর্মকর্তার নেতৃত্বে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি টিম আজ (মঙ্গলবার) সকালে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় উড়োজাহাজটির ভেতরেও তারা ঘুরে ঘুরে দেখেন। উড়োজাহাজটি এখন রয়েছে সিভিল এভিয়েশনের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সরওয়ার ই আলমের জিম্মায়। এছাড়া র‌্যাব এবং সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো টিমের কাছে থাকা বাকি আলামত উদ্ধারের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, “আলামত হিসেবে বিমানটি জব্দ করা হয়েছে। সরকারি স্বার্থ জড়িত থাকায় বিমান মেরামত করা হচ্ছে। সেজন্য বিমানটি সিভিল এভিয়েশনের ব্যবস্থাপকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। র‌্যাব এবং প্যারা কমান্ডোর কাছে যেসব আলামত রয়ে গেছে, সেগুলো হেফাজতে আনার প্রক্রিয়া চলছে।”

বিজ্ঞাপন

উড়োজাহাজের ভেতরে গুলি কিংবা বিস্ফোরণের কোনো আলামত দেখেছেন কি না জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা তদন্তের স্বার্থে কিছু বলতে রাজি হননি।

এর আগে যা হয়েছে
রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিমানের একটি উড়োজাহাজ (বোয়িং-৭৩৭) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। বিকেলে ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পর উড়োজাহাজটি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। এ সময় দু’জন কেবিন ক্রুকে জিম্মি করার অভিযোগও পাওয়া যায়।

বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিমানটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তখন পাইলট-যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে নেওয়া হয়। শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনার মধ্যে সন্ধ্যার দিকে মাত্র ৮ মিনিটের কমান্ডো অভিযানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে জানান, অভিযানে ছিনতাইকারী নিহত হয়েছেন।

এই ঘটনায় সিভিল এভিয়েশনের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রযুক্তি সহকারী দেবব্রত সরকার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০১২-এর ৬ ধারা এবং বিমান নিরাপত্তাবিরোধী অপরাধ দমন আইন, ১৯৯৭-এর ১১ (২) ও ১৩ (২) ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় নিহত যুবক পলাশ আহমেদ ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার (২৫ ফ্রেবুয়ারি) রাতেই পলাশের মরদেহ তার বাবা পিয়ার জাহান সরদারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: নিহত পলাশের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর প্রতারণার অভিযোগ: পুলিশ

সারাবাংলা/আরডি/এটি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর