Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: আহত ৬, আটক ৩


২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:২২

।। চবি করেসপন্ডেন্ট ।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী হলে চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) কর্মীরা ২০টি কক্ষ ভাংচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে চবি শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক গ্রুপ (সিএফসি) ও বিজয় গ্রুপের নেতা কর্মীরা। এসময় পুলিশ ৫টি রামদা উদ্ধার ও তিন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে ও ছয়জন আহত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আক্তারুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এখন ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী হলের পাশে আজিজ কুলিং কর্নার নামে একটি দোকানে সিএফসি ও বিজয় গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে সিএফসি গ্রুপের নেতা সোয়াইবুর রহমান কনক বিজয় গ্রুপের কর্মী কাকনকে মারধর করে। পরবর্তীতে সিনিয়রদের মধ্যে সেটি মীমাংসা হলেও রাত সাড়ে দশটার দিকে কনক ও আখলাছ সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে আসলে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা তাদের মারধর করে। এসময় সিএফসির নেতা-কর্মীরা শাহ আমানত হল ও বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিজ্ঞাপন

সিএফসি গ্রুপের নেতা বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিজয় গ্রুপের কর্মীরা চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ক্যাম্পাসে বিব্রতকর, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে আউট করা হয়েছে।’


একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় গ্রুপের নেতা মো. ইলিয়াস সারাবাংলাকে বলেন, ‘সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা আমাদের যে অভিযোগ দিয়েছে সেটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। আমাদের ওপর টেন্ডারবাজির যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। ক্যাম্পাসে প্রায় দুই-তিনমাস ধরে কোনো টেন্ডার হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে টেন্ডারবাজ অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সিনিয়ররা দ্রুত মীমাংসা করে ফেলব।’

আহতরা হলেন, ইংরেজি বিভাগের ফয়সাল ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ, সমাজতত্ব বিভাগের মেহেদী হাসান ১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ, বাংলা বিভাগের ইমরান হাসান ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ, একই শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. আব্দুস সাত্তার ও ইংরেজি বিভাগের রহমত উল্লাহ, ইতিহাস বিভাগের ওসমান ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ। আটককৃতদের নাম পাওয়া যাইনি।

চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয় প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

সারাবাংলা/সিসি/এমআই

ছাত্রলীগ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর