স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ছাত্রলীগের যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে এবং তিন দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
ঢাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেওয়ার পরও আমাদের কোনও দাবি এখনও মেনে নেওয়া হয়নি। আমরা রোববার পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষকে সময় দিয়েছি। এরপর আমাদের দাবির পক্ষে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, সোমবার থেকে টানা কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সে কর্মসূচি আমরা খুব শিগগিরই জানাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল যৌন নিপীড়নকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তাৎক্ষণিক সাময়িক বহিষ্কার করা। তদন্ত কমিটিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দুইজন প্রতিনিধি রাখা এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা।’
তিনি জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীদের না নিয়েই সহকারী প্রক্টর মাসুদুর রহমান ও লুৎফর রহমান, অধ্যাপক জিনাত হুদা ও চন্দ্রনা পোদ্দারকে নিয়ে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল চেয়ে গত ১৫ জানুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কর্মসূচি দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ভিসির বাসভবনের সামনে আন্দোলন করতে থাকে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে আন্দোলনে থাকা নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। মশিউর নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রকে তুলে নিয়ে মারধরও করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছাত্রলীগের ঢাবি বঙ্গবন্ধু হল শাখার সভাপতি আল-আমিন, ছাত্রলীগ নেতা মেহেদি হাসান সানি, সোহানুর রহমান, গোলাম সারোয়ার, লিপি আক্তার, বেনজির হোসেন নিশি, তন্নী ও শ্রাবণী শায়লাসহ মোট আট জন যৌন হয়রানির ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
সারাবাংলা/এসআর/এনএস