ঢাবিতে দুই শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ
৪ মার্চ ২০১৯ ১৮:২৩
।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে আসা দুই শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে টাকা আদায় ও তাদের মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী এই ঘটনা ঘটিয়েছেন উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা ।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহাগ সরকার তার বোন ইডেন কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী মায়িদা সুলতানাকে নিয়ে রোববার বেলা পৌনে বারোটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাঁটাহাঁটি করার সময় হঠাৎ একটি মোটর সাইকেল তাদের সামনে এসে কারণ ছাড়াই ব্রেক করে পড়ে যায়। এ সময় বাইকে থাকা জুবায়ের আহমেদ নামে এক ঢাবি শিক্ষার্থী সামান্য ব্যথা পান ও তাদের বাইক সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এরপর বাইকে থাকা ঢাবি শিক্ষার্থী জুবায়ের তাদের কাছে টাকা দাবি করে। কিন্তু ভুক্তভোগীরা দোষ না সত্ত্বেও কেন টাকা দিবে জানালে তাদের মারধর শুরু করা হয়। এ সময় বিভিন্ন হল থেকে আরও ১০-১২ জন এসে জুবায়েরের সঙ্গে যোগ দেয়। তারা সোহাগ সরকারের কাছ থেকে তার বড় ভাইয়ের নম্বর নিয়ে কল করে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। প্রথম নম্বরটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ও স্যার এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী জুবায়ের আহমেদের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এরপর জুবায়ের তারা সোহাগ সরকারের কাছে থাকা এক হাজার টাকা ও তার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। এসময় সোহাগ সরকারের বড় ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মঈন উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রক্টরিয়াল টিম পাঠান। কিন্তু জুবায়ের আহমেদ ভুক্তভোগীদের উদ্যান থেকে সরিয়ে নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ও মুহসীন হলের গেস্টরুমে পাঁচ ঘণ্টা জিম্মি করে রাখেন। পরে সেই বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক ছাত্র ১০ হাজার টাকা পাঠালে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সোহাগ সরকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই তারা জিম্মি করে আমাদের মারধর করেছে এবং ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জুবায়ের আহমেদকে ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি। তার আবাসিক হল স্যার এ এফ রহমান হলে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী সারাবাংলাকে বলেন, ‘যারা অভিযোগ দিয়েছে তারা আমাদের শিক্ষার্থী নয়। আমি তাদেরকে থানায় একটি জিডি করতে বলেছি। সেখান থেকে অভিযুক্তদের নাম এলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
সারাবাংলা/কেকে/একে