গণমাধ্যমে কেন নারীর সংখ্যা কম, প্রশ্ন স্পিকারের
৮ মার্চ ২০১৯ ২১:২৪
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: অন্যান্য পেশার তুলনায় গণমাধ্যমে কেন নারীর অংশগ্রহণ কম, তা জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ স্পিকার ডা. শিরীন শারমিন চৌধুরী। নারীদের গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধকতার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনো তুলনামূলকভাবে গণমাধ্যমে নারীদের উপস্থিতি কম দেখা যাচ্ছে। কী কারণে এমনটি হচ্ছে, সেসব সমস্যা তুলে ধরতে হবে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর রুনি মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমে নারী-পুরুষ সমতা: বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গণমাধ্যমে কেন নারীর উপস্থিতি কম, প্রয়োজন হলে আপনারা সেই কারণগুলো চিহ্নিত করুন। আপনারা যখন সমস্যাটুকু চিহ্নিত করবেন, সেইগুলো নিয়ে আমরা বসতে পারব। এ বিষয়ে সকল এডিটরদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারব। এ বিষয়টি ডিআরইউ থেকে দেখতে পারেন আপনারা।
শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, সংসদ বিটে নারী সাংবাদিকদের সংখ্যা হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি। এখানে নারীদের সংখ্যা বাড়িয়ে কাজের সমতা সৃষ্টি করতে পারেন।
স্পিকার আরও বলেন, বর্তমানে নারীদের যে পরিবর্তন এটির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে হয়েছে, তার সুফল আজ আমরা পেয়েছি। বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের যে দৃশ্যমান অগ্রগতি আমরা আজকে দেখছি তার পিছনে পুরুষ ভাইদের সহযোগিতা রয়েছে। বাংলাদেশ নারীদের অগ্রগতি সারাবিশ্বে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেন স্পিকার।
নারীর ক্ষমতায়নে অবদান রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে স্পিকার বলেন, শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ও নির্দেশনায় বাংলাদেশে নারীদের ক্ষমতায়ন সুসংহত হয়েছে।
এসময় তিনি বলেন, কিছু সুযোগ সৃষ্টি করতে হলে ইন্সটিটিউশনের মাধ্যমে করতে হয়। কিছু কিছু সুযোগ আছে যে নিজে থেকে তৈরি হয় না, আইন সৃষ্টির মাধ্যমে তৈরি করতে হয়। যেমন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের আইন তৈরির মাধ্যমে নারীরা নির্বাচন করতে পারছে। এছাড়া, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ৫০ জন নারী সংরক্ষিত আসনের মাধ্যমে নেতৃত্বের সুযোগ সৃষ্টি রয়েছে। যা অনেক রাষ্ট্রে এখনও নেই।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি মানুষের দুইটি জিনিস থাকলে নারীরা এগিয়ে যেতে পারবে। একটি হচ্ছে কাজের সুযোগ অন্য হচ্ছে কর্মদক্ষতা। যার একটিও কম থাকলে মানুষ সফল হতে পারবেনা।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিআরইউ সাবেক নারী বিষয়ক সম্পাদক আইরিন নিয়াজী মান্না, সাবেক নারী বিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ শারমিন, ঝর্ণা মনি, ঢাকা রিপোর্টর্সের সেক্রেটারি কবীর আহমেদ খান, মাইনুল আলমসহ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এআই/এনএইচ