স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : দেশের ৫৮ কারাগারে মোট কয়েদির সংখ্যা ৭ হাজার জন, এদের মধ্যে জঙ্গি রয়েছেন ৬০০ জন বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন।
‘সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গেই জঙ্গিরা থাকছেন। কারাগারে বন্দি জঙ্গিরা সাধারণ কয়েদিদের জঙ্গি কার্যক্রমে প্ররোচিত করছে’ গণমাধ্যমে এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সংবাদ সম্মেলন করেন কারা মহাপরিদর্শক।
আইজি প্রিজন বলেন, কারাগারে আসা জঙ্গি ও সাধারণ কয়েদিদের প্রথম দিকে একই স্থানে রাখা হয়। কারণ কোর্ট ইন্সপেক্টর পাঠানো কোর্ট অর্ডারে কয়েদিদের জঙ্গি হিসেবে শনাক্ত করার কোনো কাগজ থাকে না। তখন বন্দিদের নামের সঙ্গে উল্লেখ থাকে না তারা জঙ্গি কি না? তাই প্রথম দিকে জঙ্গি আর সাধারণ কয়েদিদের আলাদা করা যায় না। সকলকেই প্রথমে কারাগারে এক সঙ্গে রাখা হয়। পরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে কয়েদিদের বিস্তারিত তথ্য দিলে, কে জঙ্গি তা শনাক্ত করে আলাদা রাখা হয়। কিন্তু এ বিস্তারিত তথ্য আসতে ২-৩ মাস সময় লেগে যায়। এ সময়ের মধ্যে জঙ্গিরা অন্য কয়েদিদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন সকল জঙ্গিদের এক সঙ্গে রাখছি। হরকাতুল জিহাদ (হুজি), জেএমবি, আনসারুল্লাহ বাংলাটিমসহ অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের এক সঙ্গে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংগঠন অনুযায়ি তাদের আলাদাভাবে না রেখে, এক সঙ্গে রাখা হচ্ছে। যাতে তারা সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে মিশতে না পারে।
কারা মহাপরিদর্শক বলেন, জঙ্গিদের নিরুৎসাহিত করতে আমরা কাজ শুরু করব। সরকারের এ বিষযে হয়ত পরিকল্পনা আছে, তবে এখনও কাজ শুরু হয়নি। কারাগারের ভেতর থেকেই এই চেষ্টা চালাতে হবে। বাইরে থেকে কাউকে এনে জঙ্গিদের জঙ্গিবাদে নিরুৎসাহিত করার সুযোগ নেই। এ জন্য কারাগারের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।’
এ সময় জানানো হয় দেশের ৫৮টি কারাগারে প্রায় ৭ হাজার কয়েদি রয়েছে এবং এদের মধ্যে ৬০০ জঙ্গি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মেজর জাহিদের স্ত্রী স্পেশাল সেলে রয়েছেন গণমাধ্যমে এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ইফতেখার উদ্দীন বলেন, মেজর জাহিদের স্ত্রী স্পেশাল সেলে রাখা হয়েছে, এমন তথ্য ভুল। তাকে রাখা হয়েছে নারী সেলে। স্পেশাল সেলে এখনও নারীদের রাখা হয় নি, এই সেলে যারা রয়েছেন তারা সকলেই পুরুষ।
সারাবাংলা/এসআর/এনএস/একে