দুদকের মামলায় সার্জেন্ট আজহার আলীর ৭ বছর কারাদণ্ড
১২ মার্চ ২০১৯ ১৫:৫৯
।।স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পুলিশের সার্জেন্ট আহজার আলীকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য ও জ্ঞাতআয় বহির্ভূত এক কোটি ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৮শ টাকার সম্পদ ভোগ-দখলের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়ে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে ঢাকার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ কামাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ২০০৪ সালের দুদকের আইনের ২৬(২) ধারায় ২ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। অর্থদণ্ডের টাকা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া, ২৭ (১) ধারায় ৫ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের টাকা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত আজহার আলীর সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মো. আজাহার আলী স্থাবর/অস্থাবরসহ এক কোটি ৩০ লাখ ১৮ হাজার ৬৭৬ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৮শ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ। যার মধ্যে ৭৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে তিনি সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা দিয়ে এক কোটি ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৮শ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখল করেন।
২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আজাহার আলীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মোনায়েম খান। এরপর ২০১৫ সালের ১৬ জুন আজাহার আলীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এই মামলার আসামিরা হলেন—কেন্দ্রীয় জরিপ সার্কেল-৫-এর সহকারী কর কমিশনার (অব.) জগদীশ চন্দ্র সরকার, সার্কেল-১-এর সাবেক অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার মাহবুবুর রহমান, জরীপ সার্কেল-৫ এর সাবেক অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার শাহ আলম, জরীপ সার্কেল-৪ এর অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার (অব.) এম এম নুরুজ্জামান এবং সার্কেল-২-এর অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার জাহিদুল ইসলাম।
২০১৬ সালের ১৬ মার্চ ওই ৫ আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে আজাহার আলীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলাটির বিচার চলার সময় আদালত চার্জশিটভুক্ত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সারাবাংলা/এআই/এমএনএইচ