Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাহায্যের মাত্র ২৫ শতাংশ খরচ হয় রোহিঙ্গাদের পেছনে


১৪ মার্চ ২০১৯ ০২:৫৪

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: বিদেশ থেকে আসা সাহায্যের খুব কম অংশই রোহিঙ্গাদের জন্য খরচ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে, রোহিঙ্গাদের জন্য বিদেশ থেকে আসা টাকার ২৫ শতাংশ মাত্র খরচ হয় রোহিঙ্গাদের জন্য। বাকি ৭৫ শতাংশই খরচ করে নিজেদের জন্য। রোহিঙ্গাদের দেখভাল যারা করছে তাদের পেছনে। কিছু এনজিও এটা করছে।’

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনের পর এটি নতুন সরকারের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম বৈঠক।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, এনজিওগুলো খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। আপনারা জেনে অবাক হবেন, গেল সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের হোটেল ভাড়া বাবদ ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড়’শ কোটি টাকা এবং ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছে ৮ কোটি টাকার উপরে।

তিনি বলেন, যাদের জন্য বিদেশ থেকে টাকা আনা হয় সেই রোহিঙ্গাদের জন্য টাকার ২৫ শতাংশও খরচ হয় না। আমরা গোয়েন্দা সংস্থাকে বলেছি বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখার জন্য। অনুসন্ধানে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করা এনজিওদের সংখ্যা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা চিহ্নিত করার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে বলা হয়েছে। তদন্ত করে তাদের নামসহ দেয়ার জন্য গোয়েন্দা বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছি।

মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমার থেকে আর না আসতে পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো। তা ত্বরান্বিত করতে আমরা কাজ করবো।

বিজ্ঞাপন

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের নিতে ইউএন আপত্তি জানিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা তাদের নিজস্ব বিষয়। আমাদের সরকার কোথায় রোহিঙ্গাদের রাখবে সেটা আমরা সিদ্ধান্ত নিব। তারা দেখবে রোহিঙ্গারা ভালো আছে কি না।

তিনি বলেন, আমরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে একটা সাইডে খুবই সফল হয়েছি। সেটা হচ্ছে, যারা বাইরে থেকে আনছে সেটা বন্ধের জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। আমরা এবার গুরুত্ব দিচ্ছি দুটি বিষয়ে, একটি হচ্ছে ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করে আরও কীভাবে ধরা যায় এবং এই যে নিরাময় কেন্দ্র , এটা খুবই অপ্রতুল, সরকারিভাবে সেগুলো কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়।

আগের যেকোন সময়ের চেয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ এটা যাতে অব্যাহত থাকে সেটা দেখা হবে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের প্রতি কঠোরভাবে নজরদারির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে। কারণ প্রিভেনশন ইজ রেটার দেন কিউর।

সারাবাংলা/এইচএ/জেএএম

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী রোহিঙ্গা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর