প্রমাণ হয়েছে, ডাকসুতে ভালো নির্বাচন হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
১৫ মার্চ ২০১৯ ১৪:৪৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তারাই জয়ী হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ভালো হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে— এমন মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, দুয়েকটি হলে যারা কারচুপির অভিযোগ করেছেন, তারাই বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তারাই সেখানে বিজয়ী হয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয়, সার্বিকভাবে ভালো নির্বাচন হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে চট্টগ্রামে বীমা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী এই মেলা শুরু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, ২৮ বছর পর ডাকসুতে নির্বাচন হয়েছে। এটি প্রচণ্ড ইতিবাচক দিক। কিছু ভুলত্রুটি সেখানে হয়েছে। সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে। তদন্ত করছে, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাও নিয়েছে। তাই অনুরোধ জানাব— যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা ছাত্রদের রায়ের প্রতি সম্মান রেখে তাদের কার্যক্রম চালাবেন।
বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে অভিযোগ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (বিএনটি-ঐক্যফ্রন্ট) তো নির্বাচনের মধ্যে খুঁজেও পাওয়া যায়নি। ছাত্রদল কত ভোট পেয়েছে, সেটি বলতেও তারা লজ্জা পাচ্ছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, যারা বামপন্থী সংগঠন করে, তাদের প্রতি আমি যথেষ্ট সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই— তারা বাম-ডান সবাই মিলে চেষ্টা করেছিল ছাত্রলীগকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বাম-ডান সবাই একত্রিত হয়েও ছাত্রলীগকে হারাতে পারেনি।
বিএনপি সাময়কিভাবে ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে বিরতি দিলেও তারা সে পথ থেকে সরে আসেনি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, সুযোগ পেলে বাংলাদেশের জনগণের ওপর তারা জ্বালাও-পোড়াও ও আগুন সন্ত্রাস চাপিয়ে দেবে।
বীমা খাত নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিডিপির মাত্র দশমিক ছয়-সাত শতাংশ বীমা খাতের অবদান। ভারতে এটা চার দশমিক এক শতাংশ। আস্থার সংকট দূর হলে বাংলাদেশে আগামী কয়েক বছরে এটা পাঁচ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। বীমা খাতে জনসচেতনতা তৈরি ও সংশয় দূর করার আহ্বানও জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, বীমায় ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষ হয়রানির শিকার হয়। এটা দূর করতে হবে। সবাই করে না, কেউ কেউ করে। এতে আস্থার সংকট হয়।
বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ‘সোস্যাল ওয়েলফেয়ার স্টেস্টে’ পরিণত করতে চায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা যে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে চাই, সেখানে বীমা খাতকে উপযোগী হয়ে উঠতে নিজেদের ঢেলে সাজাতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, জীবন বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিমা আফরোজ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য গোকুল চাঁদ দাস।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর