সুপ্রভাত বাসের চালক সম্পর্কে যা জানা গেল
২০ মার্চ ২০১৯ ২১:০৫
ঢাকা: বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেওয়া সুপ্রভাত পরিবহনের চালক সিরাজুল ইসলাম বরিশালের বন্দর থানার স্থায়ী বাসিন্দা। থাকেন ঢাকার পশ্চিম মেরুল বাড্ডার ‘উকিলের বাড়ি’ এলাকায় ভাড়া বাড়িতে। সিরাজুল ইসলামের বাবা আবুল কালাম হাওলাদার, মা নাছিমা বেগম।
সূত্রগুলো আরও জানায়, সুপ্রভাত পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব ১১ ৪১৩৫) ঘাতক বাসটির সুপারভাইজার ছিলেন ইয়াসিন আর বাস মালিকের নাম হচ্ছে গোপাল। তবে ওই বাসের হেলপার ও মালিকের ঠিকানা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর প্রগতি সরণিতে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় আবরার আহমেদ চৌধুরী নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালে (বিইউপি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়তেন।
এই ঘটনায় আবরার আহমেদ চৌধুরীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ চৌধুরী গত ১৯ মার্চ সুপ্রভাত পরিবহনের ওই বাসটির চালক, হেলপার, সুপারভাইজার এবং মালিকের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্ত করছেন গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি মামলার তদন্ত ও প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের স্বার্থে আটক সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে বুধবার (২০ মার্চ) ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আমিনুল ইসলাম সারাবাংলা’কে বলেন, ‘বাসের চালক সিরাজুল ইসলামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বাস চালক সিরাজুল ইসলাম মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কিন্তু কৌশলে হেলপারের নাম ও ঠিকানা, বাস মালিকের ঠিকানাসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কৌশলে এড়িয়ে যান। এ জন্য প্রকৃত তথ্য জানার জন্য তদন্তের স্বার্থে আদালতে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড চাইলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা গেট এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী। এ ঘটনার পর থেকেই বসুন্ধরা গেট এলাকা অবরোধ করে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মেয়র এসে তাদের আশ্বাস দিলেও তারা বিক্ষোভ ও আন্দোলন থামাননি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা বিরতি দিয়ে বুধবার সকালে ফের বিক্ষোভ ও আন্দোলন শুরু করেন।
আরও পড়ুন- আজও সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ
এদিকে, বুধবার সকালে বসুন্ধরা গেটের যে স্থানটিতে বাসচাপায় আবরারের মৃত্যু হয়, সেই স্থানে একটি ফুটওভারব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। অন্যদিকে, রাজধানীর শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, রায়সাহেব বাজার, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকাতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা।
সারাবাংলা/জেআইএল/এমএইচ