Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রশিকার কাজী ফারুককে এক মাসের জেল


২৩ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:৫২

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আদালতের আদেশ অমান্য করায় প্রশিকার সাবেক চেয়ারম্যান ড. কাজী ফারুক আহমদকে একমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সংস্থাটির বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে প্রশিকা কার্যালয় বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ আদেশ প্রতিপালন করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এমএ ওয়াদুদ ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সিরাজুল ইসলামের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট বারেক চৌধুরী, নুরুল আমীন, নুরুল ইসলাম মাতুব্বর ও মো. সোলায়মান। অন্যদিকে কাজী ফারুকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম(অ্যাটর্নি জেনারেল), জেড আই খান পান্না, মাহবুব আলী এমপি, এএম আমিনউদ্দীন ও রমজান আলী শিকদার।

হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট এ এম আমিনউদ্দীন। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৪ মে সংস্থাটির গভনিং বডির এক সভায় চেয়ারম্যান পদ থেকে কাজী ফারুককে অপসারণ করে এমএ ওয়াদুদকে চেয়ারম্যান করা হয়। এ সিদ্ধান্তের পরদিনই অপসারণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সহকারী জজ আদালতে মামলা করে কাজী ফারুক। একইসঙ্গে এমএ ওয়াদুদের কমিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। তার এ আবেদন ওই বছরের ৩১ মে খারিজ করে দেয় সহকারী জজ আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে জজ আদালতে আপিল করেন তিনি। জজ আদালতে তার আবেদনটি খারিজ হলে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট ওই বছরের ১১ আগস্ট রায় দেন। রায়ে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেওয়া হয়। রায়ে প্রশিকা ভবনে কোনো সমাবেশ বা শোভাযাত্রা না করতে কাজী ফারুকের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে কাজী ফারুক আপিল বিভাগে আবেদন করলেও আপিল বিভাগ এ আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর ২০১২ সালে আবার প্রশিকা ভবনে অবস্থান নেন কাজী ফারুক। পরবর্তীকালে কাজী ফারুকের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি আদালত অবমাননার মামলা করেন এমএ ওয়াদুদ। কাজী ফারুকের বিরুদ্ধে প্রশিকা ভবনে প্রবেশ করে চেয়ারম্যানের কার্যালয় দখল করে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়।

এ অবস্থায় আদালত কাজী ফারুকের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন। রুলে কাজী ফারুককে কেন দেওয়ানি কারাগারে আটক রাখা হবে না এবং কেন তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর রায় দেন।

রায়ে ৭ দিনের মধ্যে এমএ ওয়াদুদকে কার্যালয় বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে কাজী ফারুককে ৭ দিনের দেওয়ানি কারাদণ্ড ও ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি এ আদেশ কার্যকর করে ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিস্ট আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান কাজী ফারুক। আপিল বিভাগ মামলাটি পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন। এরপর আবার বিষয়টি হাইকোর্টে আসলে আদালত আজ শুনানি শেষে এ রায় দেন। রায়ে তাকে এক মাসের দেওয়ানী দণ্ড দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/এজেডকে/আইজেকে


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর