Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘একদলীয় শাসন প্রবর্তন করে স্বাধীনতা হরণ করেছে আ. লীগ’


২৭ মার্চ ২০১৯ ১৭:১১

ঢাকা: একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা হরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘প্রায় ৪৭ বছর (৪৮ বছর) আগে স্বাধীনতা এসেছে, আমরা স্বাধীন হয়েছি। কিন্তু আসলেও কি আমরা স্বাধীন হয়েছি? আমরা স্বাধীন নই, আমরা মুক্ত নই। একটা পাথর আমাদের বুকের ওপর চেপে বসেছে। আমাদের স্বাধীনতাকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মুক্ত চিন্তা করার যে স্বাধীনতা, কথা বলার যে স্বাধীনতা, লেখার যে স্বাধীনতা, এই আওয়ামী লীগ আজ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে সেই স্বাধীনতা হরণ করেছে।’

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত ‘স্বাধীনতা র‌্যালি’র উদ্বোধনের সময় তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের নেত্রী— যিনি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে, যিনি স্বাধীনতাকে সংহত করার জন্য কাজ করেছেন, সেই মহান নেত্রীকে আজকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে, তার যে ন্যায্য অধিকার, সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। কিন্তু তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।’

খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য জনগণের ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন, অত্যাচার নির্যাতন, নিপীড়নের মধ্য দিয়ে দেশে যারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায়, তাদেরকে আমরা অপসারিত করি এবং দলমত নির্বিশেষে জনগণের ঐক্য তৈরি করে আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি, গণতন্ত্রকে মুক্ত করি। আজকের এই দিনে এই হোক আমাদের শপথ, এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’

বিজ্ঞাপন

খোলা ট্রাকের ওপর নির্মিত মঞ্চে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন তার পাশে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ অন্যরা।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ‘স্বাধীনতা র‌্যালি’ শুরু করেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় তার সঙ্গে যোগ দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ অন্যরা।

এছাড়া যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান নিজ নিজ সংগঠনের নেতৃত্ব দেন র‌্যালিতে।

বিএনপি আয়োজিত এই স্বাধীনতা র‌্যালিতে মহিলা দল, ছাত্রদল, যুবদল, মৎসজীবী দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জাসাসসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিল ব্যানার, ফেস্টুন, ধানের শীষের রেপ্লিকা, দলীয় ও জাতীয় পতাকা, বাদ্যযন্ত্র, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত পোস্টার।

র‌্যালিটি নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ মোড় ঘুরে নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী, সমর্থক অংশ নেওয়ায় সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। সম্ভব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যালির সামনে ও পেছনে পুলিশ সদস্যরা তৎপর ছিল।

র‌্যালিতে অংশ নেওয়া বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থকরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে স্লোগান দেন। র‌্যালিতে বেশ কয়েকটি পিকআপ ভ্যানে বাজানো হয় দেশত্ববোধক গান। পাশাপাশি কারাবন্দি খালেদা জিয়া ও নির্বাসনে থাকা তারেক রহমানকে নিয়ে রচিত গানও বাজানো হয় ওইসব পিকআপ ভ্যান থেকে।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাধীনতা দিবসের র‌্যালি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর