ছিনতাই করার সময় জাবির ৩ শিক্ষার্থী আটক
৩০ মার্চ ২০১৯ ১৬:২১
জাবি: ছিনতাই করার সময় তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কর্মচারীরা। এ সময় আরও দুই শিক্ষার্থী পালিয়ে গেছেন।
শনিবার (৩০ মার্চ) ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছন দিকে জাবি’র কর্মচারী (ড্রাইভার) মো. আলমগীর হোসেনের জামাতা মো. মনির সরদার ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীরা তাকে ব্যক্তিকে মারধর করে জখম করেন।
আটক শিক্ষার্থীরা হলেন, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের সঞ্জয় ঘোষ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ ৪৫তম ব্যাচের মো. আল রাজী এবং ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ ৪৫তম ব্যাচের মো. রায়হান পাটোয়ারী।
প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ছিনতাইয়ের অপরাধে রায়হান পাটোয়ারীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার ও অবাঞ্ছিত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, সম্প্রতি মো. মনির সরদার বিশ মাইল এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ভোরে তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে বিশ মাইল রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন। এ সময় আটক তিনজনসহ মোট পাঁচজন তাকে ঘিরে ধরে সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা মনিরকে একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে করে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে নিয়ে যান। ওই পাঁচজন তাকে ইয়াবা বিক্রেতা সাজানোর চেষ্টা করেন এবং বেধড়ক মারধর করেন।
কেবল ছিনতাই না, পরে তারা মনিরের স্ত্রীর কাছে মোবাইল ফোনে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। মনিরের শ্বশুর বাড়ির লোকজন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী ঘটনাস্থলে যান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুইজন পালিয়ে যায়, অন্যদিকে তিনজনকে আটক করা হয়। আহত মনিরকে বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়- জানান তারা।
আটক শিক্ষার্থী সঞ্জয় ঘোষ বলেন, আমি জুনিয়রদের ফোন পেয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার আগে আমি বিষয়টি আমি জানতাম না। গিয়ে দেখি, ওরা এক ব্যক্তিকে মারধর করেছে। তবে ছিনতাই ও মুক্তিপন দাবি করার অভিযোগ সত্যি না।
আল রাজী ও রায়হান পাটোয়ারী মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, ছিনতাই ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ মিথ্যা।
আটক দুই শিক্ষার্থী নিজেদের জাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মো. জুয়েল রানার অনুসারী দাবি করেছেন- এ বিষয়ে জানতে তাকে একাধিকাবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ছাত্রদের বিরুদ্ধে ছিনতাই, মারধর ও টাকা দাবির অভিযোগ এসেছে। আমরা ডিসিপ্লিন বোর্ড বসিয়ে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
সারাবাংলা/এটি