প্রশ্নফাঁসবিহীন এইচএসসি পরীক্ষা উপহারের আশা শিক্ষামন্ত্রীর
১ এপ্রিল ২০১৯ ১০:৪৬
ঢাকা: চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার মতো এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, আশা করি কোনো ধরনের জটিলতাবিহীন ও প্রশ্নফাঁসবিহীন একটি পরীক্ষা জাতিকে উপহার দিতে পারবেন। আর এজন্য গণমাধ্যম, অভিভাবক ও দেশবাসীর সহযোগীতা কামনা করেন মন্ত্রী।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এর আগে সকাল ১০টায় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান মন্ত্রী। তবে কেন্দ্রের ভেতর সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিছুক্ষণ পরে পরিদর্শন শেষে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এসএসসি পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ছাপায় কিছু ভুলত্রুটি হয়েছিল, এবারও তেমন থাকবে কি না তা জানতে চাইলে ডা. দীপু মনি বলেন, এটা বিশাল আয়োজন, ফলে গতবার কিছু ছোটখাটো ভুল হয়েছিল। আশা করছি এবার সেরকম ভুল হবে না।
পরীক্ষার সময় একটি চক্র প্রশ্ন ফাঁস করে বা গুজব ছড়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয় বলে জানান সাংবাদিকরা। তাদের মোকোবিলায় কেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা-ও জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রশ্ন ফাঁস বা গুজব সৃষ্টিকারী চক্রের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখছেন গোয়েন্দারা। এবার কেউ এসব কাজ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবার আগে এই প্রজন্মের ভবিষ্যত। সেটা কেউ অন্ধকারে ঠেলে দেবে তা আমরা বরদাস্ত করবো না।’
প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে এমন কোনো সুযোগ না দিয়ে এবারের পরীক্ষা শেষ করতে শিক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করছে বলেও জানান মন্ত্রী।
প্রশ্ন ফাঁস করা এবং প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ানোর বিষয় কোচিং সেন্টারগুলোর কিছু অসাধু ব্যক্তি দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তাদের কারণে এতদিন ধরে এমনটা হয়ে আসছিল। এবার আমরা সেটি হতে দেব না, যে কারণে আজকে থেকে মে মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত কোচিং সেন্টারগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
পরীক্ষার একটা পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তিন হাজারেরও বেশি প্রশ্ন তৈরি করতে হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ফলে সেখানে ছোটখাটো অনেক ভুল থাকতে পারে। যেহেতু কাজগুলো মানুষ করেন, তাই ভুল হতেই পারে। তবে আশা করা হচ্ছে এবার খুব একটা ভুল হবে না। তবু কোনো ভুল পাওয়া গেলে তা নিয়ে যেন বিভ্রান্তি ছড়ানো না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
সারাবাংলা/টিএস/এসএমএন