ইতালি থেকে রেমিট্যান্স প্রেরণে বাংলাদেশ নবম স্থানে
২ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৩৮
ইতালিতে প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি রয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫১০ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬৬২ দশমিক ২২ মিলিয়ন ইউএস ডলার ও চলতি অর্থবছরের (জুলাই ১৮ -ফেব্রুয়ারি ১৯ পর্যন্ত) ৫১০ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ডলার বৈধপথে ইতালি থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রেরণের তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে ইতালি নবম অবস্থানে রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় কোম্পানির উদ্যোগে বাংলাদেশি অধ্যুষিত পিয়াচ্ছা ভিত্তরিও এলাকার হোটেল ফুডস অব রমা অ্যান্ড ইন্ডিয়ায় সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
ইতালি থেকে বাংলাদেশে অর্থ প্রেরণের পথিকৃৎ হচ্ছে জনতা এক্সচেঞ্জ কোম্পানি। বাংলাদেশের সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি ২০০২ সালে রোমে ও ২০০৪ সালে মিলানে যাত্রা শুরু করে।
অনুষ্ঠানে ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আলী হোসেন স্বাগতিক বক্তব্যের পর কোম্পানির ডিরেক্টর ও বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সিলর মানস মিত্র কোম্পানির সার্বিক চিত্র এবং ২০১৮ সালে কোম্পানির অর্জনসমূহের ওপর বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে কোম্পানির রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংক-এর সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন বিভিন্ন আপত্তির নিষ্পত্তিকরণ এবং ২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো কোম্পানির ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়সমূহ এবং এর প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার সম্মানিত গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীগণের মতামত ও পরামর্শসমূহের বিষয়ে তার বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি কোম্পানির মাত্র দুটি শাখা- রোম ও মিলানের ওপর নির্ভরশীল না থেকে এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেন। সর্বোপরি তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিগণকে তাদের কষ্টার্জিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা বৈধ চ্যানেলে দেশে পাঠানের জন্য অনুরোধ করেন।
বিশেষ অতিথি কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং জনতা ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ-এর সিইও অ্যান্ড এমডি মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ এফ এফ জনতা এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এবং জনতা ব্যাংক লিমিটেড এর ব্যবসা পরিধি, আর্থিক কাঠামো, ঋণপ্রবাহ ইত্যাদিসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
তিনি আরও বলেন, মানি লন্ডারিং এবং জঙ্গি অর্থায়নের বিরূদ্ধে বাংলাদেশের কঠোর অবস্থানের উল্লেখ করেন। জনতা এক্সচেঞ্জ কোম্পানির সেবা অব্যাহত রাখা সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং এটি বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। এছাড়া কোনো প্রকার অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তিনি সম্পানিত গ্রাহকগণকে আহ্বান জানান।
উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব আবদুস সোবহান সিকদার, বিশেষ অতিথি ছিলেন জনতা এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এসআরএল, ইতালির চেয়ারম্যান এবং জনতা ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ এর সিইও অ্যান্ড এমডি জনাব মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ, এফএফ এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকনমিক কাউন্সেলর জনাব মানস মিত্র। কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব মো. আলী হোসেনসহ অনেকে।
সারাবাংলা/এআই