উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারতের, সমালোচনায় নাসা
২ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:১৬
রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পরই বিশ্বের চতুর্থ হিসেবে উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (এএসএটি) উৎক্ষেপণে সফলতা পায় ভারত। নির্বাচনি আবহে গত ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘোষণা দেন। তবে মহাকাশে পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকে ভয়ংকর ও হুমকি হিসেবে দেখছে দ্য ন্যাশনাল অ্যারোনেটিকস এন্ড স্পেস অ্যাডমেনিস্ট্রেশন (নাসা)। নাসা প্রধান জিম ব্রাডেনস্টাইন বলেন, ধ্বংসপ্রাপ্ত উপগ্রহের বর্জ্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) সংঘর্ষ হতে পারে। খবর বিবিসির।
উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে স্পেশ স্টেশনের সংঘর্ষের সম্ভাবনা গত ১০ দিনে শতকরা ৪৪ ভাগ বেড়েছে জানিয়ে ব্রাডেনস্টাইন আরও জানান, আইএসএস এখনো নিরাপদ। তবে কোনো রকম ব্যবস্থা নিতে হলে আমরা নিব।
ব্রাডেনস্টাইন বলেন, নাসা ধ্বংসপ্রাপ্ত উপগ্রহটির ৪০০ খণ্ড শনাক্ত করেছে। এরমধ্যে ৬০টি খণ্ড ১০ সেন্টিমিটারের চেয়ে বড়। যেখানে ২৪ টি খণ্ডকে আইএসএস-এর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
‘এটি ভয়াবহ, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের জন্য এটি ক্ষতির কারণ হতে পারে। মহাকাশে মানব উড্ডয়নের পরিকল্পনার সঙ্গে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ বলেন ব্রাডেনস্টাইন।
তবে ভারতের দাবি, মহাকাশকে নিরাপদ রাখতেই তারা লোয়ার আর্থ অরবিটে (৩০০ কি.মি.) ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে (বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষে পুড়ে) যাবে।
ব্রাডেনস্টাইনও ভারতের যুক্তিতে সহমত জানিয়েছেন।
এর আগে, ২০০৭ সালে চীনের উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় ১০ হাজারেরও বেশি ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়। চীনের ওই পদক্ষেপও সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল।
সারাবাংলা/এনএইচ