২৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: দুই শিল্পপতির বিরুদ্ধে মামলা
৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৯:৪২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানির নামে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক থেকে ২৫৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দুই শিল্পপতির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই মামলায় আসামি হয়েছেন ব্যাংকের সাবেক তিন কর্মকর্তাও।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করেছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- নুরজাহান গ্রুপের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মারীন ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান ও তার ভাই ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদ এবং অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ও আগ্রাবাদ শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক বেলায়েত হোসেন, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার রমিজ উদ্দিন এবং সাবেক সিনিয়র অফিসার ত্রিপদ চাকমা।
ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫৮ কোটি ৫৬ লাখ ১৬ হাজার ৩৭৩ টাকা আত্মসাৎ এবং মানিলন্ডারিং আইনে মামলাটি দায়ের হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ১০ মার্চ অগ্রণী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় মারীন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদ ঋণের আবেদন করেন। আবেদনে মালয়েশিয়া অথবা ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত পামঅয়েল আমদানির কথা বলা হয়।
ব্যাংকের ওই শাখায় সেসময়ে কর্মরত ত্রিপদ চাকমা ও রমিজ উদ্দিন এ সংক্রান্ত ঋণ প্রস্তাব তৈরি করেন। ওই ঋণ প্রস্তাব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন দিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে ঋণ বাবদ মোট ২৮০ কোটি ৭২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৩ টাকা দেওয়া হয়।
আমদানির পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের নিয়ম অনুসরণ না করে প্রতারণার মাধ্যমে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে ৯৮ কোটি ২৭ লাখ টাকার মালামাল চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে ছাড় করে। ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন খাতে মোট ২২ কোটি ১৬ লাখ ২২ হাজার টাকা জমা দেয়। বাকি ২৫৮ কোটি ৫৬ লাখ ১৬ হাজার ৩৭৩ টাকা আত্মসাৎ করে।
অথচ ঋণের বিপরীতে কোনো জামানত ব্যাংকের কাছে গচ্ছিত ছিল না বলে এজাহারে বলা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান অনুসরণ না করে মারীন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেডকে ঋণ প্রদান করা হয়েছে বলেও এজাহারে বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ