ঢাকায় প্রথমবারের মতো ‘ওয়াও’ ফেস্টিভ্যাল শুরু
৫ এপ্রিল ২০১৯ ২০:০২
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা ‘ওয়াও ফাউন্ডেশন’ এর অংশীদারিত্বে ঢাকায় প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক উইমেন অব দ্য ওয়ার্ল্ড (ওয়াও) ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছে। নারী ও কিশোরীদের ক্ষমতায়নের অগ্রগতিতে বৈশ্বিক আন্দোলন সৃষ্টিতে কাজ করে সংস্থাটি।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে বাংলা একাডেমিতে ‘ওয়াও ঢাকা ২০১৯’ ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব নাসিম ফেরদৌস, ওয়াও ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জুড কেলি সিবিই এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেপুটি ডিরেক্টর অ্যান্ড্রিউ নিউটন।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৫ ও ৬ এপ্রিল এ ফেস্টিভ্যাল চলবে।
প্রসঙ্গত যে, ব্রিটিশ কাউন্সিল বিশ্ব জুড়ে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও শিক্ষার সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে কাজ করে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ অভাবনীয় উন্নতির পথে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাজারও প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে এ দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যাচ্ছেন। এই অগ্রযাত্রায় আইনসভা, প্রশাসন থেকে শুরু করে সামরিক বাহিনী- সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মত।’
তিনি বলেন, ‘নারীর অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ উন্নতি করলেও কিছু প্রতিবন্ধকতাও আছে। এখনও ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে নারীকে আবদ্ধ করে ফেলার চেষ্টা করা হয়। শুধু ধর্ম নয়, বরং পুরুষতান্ত্রিকতাও নারীর জন্য প্রতিবন্ধকতা। এ থেকে বেরিয়ে আসাই আমাদের সবার জন্য চ্যালেঞ্জ। সারা বিশ্বে নারীদের সমস্যা মূলত একই। আমরা যে সমস্ত দেশে নারী পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে ধরে নিই, সেসব দেশেও নারীরা নিগৃহীত হয়। এসব থেকে বাচঁতে হলে নারী পুরুষ এক হয়ে কাজ করতে হবে।’
ওয়াও ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জুড কেলি বলেন, “আমাদের স্বাভাবিক প্রবণতাই হয়ে দাঁড়িয়েছে নারীদের জন্য ‘না’ বলা। তাদের স্বপ্নের পথে ‘না’ বলে তাদের থামিয়ে দেওয়া। একটি মেয়ে যখন কোন স্বপ্ন দেখতে চায় তাকে বলা হয় ‘তুমি স্বপ্ন দেখতে পার না, কারণ তুমি একটা মেয়ে’। আমরা এখান থেকেই বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা নারী ও কিশোরীদের জন্য ‘হ্যাঁ’ বলতে চাই।”
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে আয়োজিত দুই ব্যাপী এই উৎসবে সামাজিক প্রথা, পুরুষ ও নারী, নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতাসহ নানা বিষয়ে প্যানেল আলোচনা চলছে। এছাড়া নিজের তৈরি পণ্যসামগ্রী প্রদর্শন, গল্প বলা, চিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, পূর্ণাঙ্গ মঞ্চনাটকসহ নানা পরিবেশনার মাধ্যমে নারীদের বিভিন্ন সাফল্যগাঁথা, প্রতিবন্ধকতা এবং সেসব থেকে উত্তরণের উপায় তুলে ধরা হয়।
সমাজের সব স্তর থেকে আমন্ত্রিত অতিথি, বক্তা ও অংশগ্রহণকারীদের সমন্বয়ে আয়োজিত হচ্ছে এই উৎসব। এখানে অংশগ্রহণকারীরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং জেন্ডারসমতার ভিত্তিতে সমাজ বিনির্মাণে সহায়ক করে গড়তে ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ফেস্টিভ্যাল আয়োজকদের।
সারাবাংলা/কেকে/এমও