চট্টগ্রামে একমাসের মধ্যে চালু হচ্ছে ৩৭৫ শয্যার হাসপাতাল
৮ এপ্রিল ২০১৯ ২৩:১৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে চট্টগ্রামে এক মাসের মধ্যে চালু হচ্ছে ৩৭৫ শয্যার বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র ‘ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল লিমিটেড’। এই হাসপাতাল চালু হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশযাত্রার হার কমবে বলে মনে করছেন হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িতরা।
সোমবার (৮ এপ্রিল) নগরীর পাহাড়তলী হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বোর্ড চেয়ারম্যান ও চিটাগাং আই ইনফারমারি এন্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সের (সিইআইটিসি) ম্যানেজিং ট্রাস্ট্রি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- সাত একর জমির উপর নির্মিত এই হাসপাতালে থাকছে পাঁচটি ভবন। এর সঙ্গে আছে নার্স ও টেকনিশিয়ানদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। হাসপাতালটির নকশা প্রণয়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্থাপত্য সংস্থা। প্রকৌশল, তথ্যপ্রযুক্তি এবং বায়োমেডিকেল বিষয়ে কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে ইউরোপের একটি কনসালটেন্ট গ্রুপ। হাসপাতাল নির্মাণে তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ (ইনফেকশন কন্ট্রোল), রোগী এবং কর্মীদের নিরাপত্তা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, হাসপাতালে পাওয়া যাবে সার্বক্ষণিক ইমার্জেন্সি সেবা। এতে কার্ডিয়াক, ট্রান্সপ্ল্যান্ট, নিউরো, অর্থোপেডিক ও গাইনি অবস্ বিষয়ে ১৪টি মডিউলার অপারেশন থিয়েটার আছে। ১৬টি নার্স স্টেশন থা কার্ডিয়াক, ট্রান্সপ্ল্যান্ট, নিউরো, অর্থোপেডিক ও গাইনি অবস্ বিষয়ে ১৪টি মডিউলার অপারেশন থিয়েটার আছে। আছে ১৬টি নার্স স্টেশন।
এছাড়াও থাকছে ৬২টি কনসালটেন্ট রুমসহ বহির্বিভাগ এবং ৬৪টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড। নবজাতকদের জন্য ৪৪ শয্যার নিওনেটাল ইউনিট এবং ৮টী পেডিয়াট্রিক আইসিউ আছে। রোগীর স্বজনদের জন্য হাসপাতাল পরিধির মধ্যে থাকার ব্যবস্থা আছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল রোগীদের জন্য ১০ শতাংশ শয্যা সংরক্ষিত আছে। পূর্ণাঙ্গ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আছে। সরকারি নীতিমালা মেনে পরিবেশসম্মতভাবে বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডা. রবিউল হোসেন জানান, ভারতের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.দেবী শেঠীর নারায়ণা হেলথ এবং ইমপেরিয়াল যৌথভাবে কার্ডিয়াক সেন্টার পরিচালনা করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে বিশেষ করে চট্টগ্রামে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা আছে। অনেক রোগী বিদেশে যেতে বাধ্য হচ্ছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য। এসব রোগী এবং তাদের পরিবারকে আর্থিক, শারীরিক এবং মানসিক চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য এই হাসপাতাল গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
হাসপাতাল চালু হলে রোগীদের বিদেশযাত্রার হার কমবে বলে মনে করছেন খ্যাতিমান এই চিকিৎসক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বোর্ড মেম্বার ও সিইআইটিসি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের এম এ মালেক, আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, পরিচালক সেলিম আহমেদ, হাসপাতালের এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার রিয়াজ হোসেন, কমিশনিং কনসালটেন্ট এড লি হ্যানসেন এবং ম্যানেজার ( মার্কেটিং এন্ড পাবলিক রিলেশন) শেখ আবদুস সালাম।
সারাবাংলা/আরডি/এসবি