Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিংগাপুরে নেওয়া যাচ্ছে না ফেনীর দগ্ধ মাদরাসাছাত্রীকে


৯ এপ্রিল ২০১৯ ১০:২৫

ঢাকা: ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার শিকার সেই মাদরাসা শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য সিংগাপুরে নেওয়া হচ্ছে না। মূলত শারীরিক অবস্থা বিবেচনাতেই তাকে সেখানে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না েবলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে সিংগাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসকদের ভিডিও কনফারেন্সে কথা হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্স শেষে বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ কথা জানান সাংবাদিকদের।

বিজ্ঞাপন

                                        আরও পড়ুন: ‘মেয়েটি হাতের ব্যান্ডেজ খুলে ফেলতে চায়’

সামন্ত লাল সেন জানান, ভিডিও কনফারেন্সে সিংগাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আমাদের সাজেশন দিয়েছে। আর আগামী ১৭ এপ্রিল সিংগাপুরের একটি চিকিৎসক দল পাঁচ দিনের জন্য ঢাকা আসবে। তখন ওই টিম মেয়েটিকে দেখবে।

                                            আরও পড়ুন- মাদরাসাছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহার পরিবর্তন

বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক আরও বলেন, সিংগাপুরে যেতে হলে মেয়েটিকে দীর্ঘ সময় ফ্লাই করতে হবে। কিন্তু তার যে শারীরিক অবস্থা, তাতে এক দীর্ঘ ভ্রমণ তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমরাই তার যথাসাধ্য চিকিৎসা করব। মেয়েটির বাবা ও ভাইকে ডেকে কথা বলেছি। তারা আমাদের চিকিৎসায় সম্মতি জানিয়েছে।

আরও পড়ুন- ‘ডাইং ডিক্লারেশনে’ শম্পা নামটি বলেছেন ফেনীর মাদরাসা শিক্ষার্থী

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, মেয়েটির অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। এখনও ঝুঁকি কাটিয়ে উঠতে পারেনি সে। তাই তাকে ঢামেক বার্ন ইউনিটে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। আর তার চিকিৎসায় সিংগাপুরের চিকিৎসক দলের সঙ্গে প্রতিদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পরামর্শ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ওই বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই মেয়েটির চিকিৎসা চলছে।

নিজ মাদরাসার অধ্যক্ষের কাছে যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার পর গায়ে পেট্রোল ঢেলে হত্যার চেষ্টা করা হয় ওই শিক্ষার্থীকে। গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ্দৌলা ওই শিক্ষার্থীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে ওই অধ্যক্ষকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছে। তবে শিক্ষার্থীদের অন্য একটি অংশ অধ্যক্ষের শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন করেছে।

আরও পড়ুন- ‘বল সব মিথ্যা, ২৭ তারিখের যৌন হয়রানি মিথ্যা’

এদিকে, শনিবার (৬ এপ্রিল) ওই শিক্ষার্থী সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে অধ্যক্ষের পক্ষের শিক্ষার্থীরা তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর