Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

থুথু খাওয়ানো সেই শিক্ষকের বদলি:বরখাস্ত না করায় স্থানীয়দের ক্ষোভ


১০ এপ্রিল ২০১৯ ০২:২৬

রংপুর: শিক্ষার্থীরা পড়া না পারলে মারধরসহ একজনের থুথু অন্যজনকে খাওয়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক জামালউদ্দিনকে বদলি করা হয়েছে। তাকে কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের আজম খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়ের শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত না করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৮ এপ্রিল) রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়ের শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রাথমিকভাবে বদলি করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে। সেখানে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত না করে শুধু বদলির আদেশ দেয়ায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। উনারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বরখাস্তসহ কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

উল্লেখ্য, ২ এপ্রিল হারাগাছ চতুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনামিকা ক্লাসে অংক করতে না পারায় অন্য শিশুর থুথু খাইয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করেন সহকারী শিক্ষক জামাল উদ্দিন। এই ঘটনাতে নির্যাতনের শিকার শিশু শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেয়।

৪ এপ্রিল সারাবাংলা ডট নেটে ‘পড়া না পারলে থুথু খাওয়ান শিক্ষক, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করা হয়। সেদিন এই বিষয়ে বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়ের শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে শনিবার (৬ এপ্রিল) ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার অধিকারী জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাসার মো. মাহমুদুন নবীকে  নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) হারাগাছ চতুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় অভিযুক্ত শিক্ষক জামাল উদ্দিনের বিষয়টি নিয়ে। সভায় সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাসার মো. মাহমুদুন নবী, প্রধান শিক্ষক খালেদা আক্তার, অভিযুক্ত শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। সভাতে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণসহ উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

সভাশেষে রোববার (৭ এপ্রিল) সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাসার মো. মাহমুদুন নবী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে তিনি বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক তার দোষ স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় নির্যাতনকারী শিক্ষকের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অন্য বিদ্যালয়ে বদলির ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হলে রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলেই প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম অভিযুক্ত শিক্ষক জামালউদ্দিনের বদলির আদেশ জারি করেন।

সারাবাংলা/এসবি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দু’দিনে ভারতে ৯৯ টন ইলিশ রফতানি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৪

সম্পর্কিত খবর