Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মেয়ের ফোন নাম্বার নিয়ে তর্ক: ৮ম শ্রেণির ছাত্রের সহপাঠীকে হত্যা!


১০ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৩৬

ফেনী: ফেনী সদর উপজেলার মাথিয়ারা থেকে নিখোঁজের সাত দিন পর পাওয়া যায় স্কুল ছাত্র শুভ’র মৃতদেহ। এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ইসমাইল হোসেন ইমন (১৪) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ফেনী সদর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.জাকির হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারাতে ইমনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সাজেদুল ইসলাম জানান, শুভকে তার সহপাঠী ইমন নিজ হাতে খুন করেছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এই খুনের ঘটনায় ব্যবহার করা ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।

মৃত শুভ এবং আসামি অভিযোগে গ্রেফতার ইসমাইল হোসেন ইমন দু’জনই স্থানীয় মাদার কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুরজিত বড়ুয়া জানান, দক্ষিণ কাশিমপুর এলাকার সৌদি প্রবাসী ইমাম হোসেনের ছেলে আরাফাত হোসেন শুভ (১৪) ৩১ মার্চ বিকেলে নিখোঁজ হয়। ঘটনার সাত দিন পরে মাথিয়ারা এলাকার একটি ডোবা থেকে পুলিশ অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার করে শুভর মৃতদেহ। মৃত শুভ’র মা খাদিজা বেগম এই ঘটনাতে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাতে জড়িত সন্দেহে শুভ’র সহপাঠী ইসমাইল হোসেন ইমনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মঙ্গলবার ১৬৪ ধারাতে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে ইমন। আদালত ইমনকে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জবানবন্দিতে ইমন জানান, ৩০ মার্চ একটি মেয়ের মোবাইল নাম্বার নিয়ে বন্ধু ইমনের সঙ্গে শুভ’র বাকবিতণ্ডা হয়। এই ঘটনাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৩১ মার্চ বিকেলে শুভকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে ইমন। দু’জনে তেমুহনী বাজারের ডেন্টাল গলিতে বসে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখে। এর পরে বিকেল ৪/৫টার দিকে ইমন তার সহপাঠী শুভকে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী এক কলাবাগানে। সেখানে ছুরি দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে হত্যা করে সহপাঠী শুভকে।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার হওয়া ইসমাইল হোসেন ইমন মাথিয়ারা গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে।

সারাবাংলা/এসবি

জবানবন্দি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর