স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : এবার প্রথমবারের মতো সারাদেশে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরীক্ষার প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতি জেলার ট্রেজারি থেকে পরীক্ষার দিন সকালে স্বয়ং কেন্দ্রসচিব উপস্থিত হয়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করতে হবে। কোথাও প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলে সকল-পরীক্ষা বাতিল করা হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগেই পরীক্ষার্থীদের নিজ আসনে বসতে হবে। এরপর আর কোনোভাবেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগে সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাতদিন আগে থেকেই সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসেন বলেন, পরীক্ষা শেষের পরেও যদি প্রমাণিত হয় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে তবে সে পরীক্ষা বাতিল করা হবে। অভিন্ন প্রশ্নপত্র দিয়ে সারাদেশে পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা একটি বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, সকল বোর্ডে মানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করে সুষ্ঠুভাবে এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন করাটাই এখন বড় লক্ষমাত্রা।
তিনি বলেন, আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। কোন ধরনের আপস করতে রাজি নই। কেউ যদি দায়িত্ব অবহেলা বা কোন ধরনের অনিয়ম করেন তাকেই অপরাধী বলে গণ্য করা হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম পরিচালক নাজমুল আলম বলেন, পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ট্রেজারি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় অনেক বড় গাফিলতি হয়। সেখান থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে ফেসবুকে প্রশ্নপত্র বিক্রির বিজ্ঞাপন পাওয়া গেছে। আমরা তা নিয়ে কাজ করছি।
এছাড়াও প্রশ্নপত্র বিতরণের সময় অনেক কেন্দ্র সচিব উপস্থিত না হয়ে তাদের প্রতিনিধিদের পাঠান। এটি বন্ধ করে কেন্দ্র সচিবের উপস্থিতি নিশ্চিত, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নিয়োজিত রাখা, ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের বিষয় অধিক সতর্কতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা ও বিভাগের কর্মকর্তারা।
নিরাপত্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর হোসনে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহানারা বানু প্রমুখ।
সারাবাংলা/জিএস/একে