ভোটার তালিকা হালনাগাদে ৮০ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি
১০ এপ্রিল ২০১৯ ২০:২২
ঢাকা: নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ভোটার তালিকার হালনাগাদ কর্মসূচিতে এবার ৮০ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যাদের বয়স ১৬ বছর হয়েছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। কারণ ১৮ বছর বয়সেই তারা ভোটার হবেন।
বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন বৈঠক শেষে মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। এসময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আরও জানান, এবছর ২৩ এপ্রিল থেকে সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই কার্যক্রম চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। এছাড়া, ২৫ মে থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া।
কমিশন বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে হেলালুদ্দীন বলেন, এ বছর আমাদের টার্গেট হলো ৮০ লাখ নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা। ২০০৪ সালের পহেলা জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এরকম নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরমধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের নাম ২০২০ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর যাদের বয়স এখনো ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি, বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এবার ভোটার তালিকায় হালনাগাদ কার্যক্রমে মোট তথ্য সংগ্রহকারী থাকবে ৫২ হাজার ৫০০ জন, সুপারভাইজার ১০ হাজার ৫০০, টেকনিক্যাল সাপোর্টে থাকবে ৬৪ জন এবং রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র থাকবে ৭৮০ পয়েন্টে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার না করলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবেও বলে জানান হেলালুদ্দীন।
ইসি সচিব বলেন, ২৫ মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। কোনো কারণে তথ্য সংগ্রহের সময় কেউ যদি বাদ পড়েন, তবে তিনি নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়েও তার তথ্য দিয়ে নিবন্ধিত হতে পারবেন।
ঢাকাসহ অন্যান্য মহা-নগরীর জন্য কোনো বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন বলেন, এ কারণেই ভোটার তালিকা হালনাগাদে ট্যাবটা ব্যবহার করতে চাই। কারণ এতে লোকেশনটা দেখা যায়। কে কোথায় অবস্থান করছে। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে বাড়ি বাড়ি যাওয়া ডিফিকাল্ট। কারণ মানুষ খুব একটা সহযোগিতা করতে চায় না। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে আমরা এ বিষয়ে অনেক বেশি সহযোগিতা পাই।
ঢাকাতে কোন প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করা হবে সেটা জানাতে গিয়ে ইসি সচিব বলেন, সেটা যারা তথ্য সংগ্রহ করবেন এ বিষয়ে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। যদি তারা বাড়ি বাড়ি যেতে না পারেন তাহলে কোনো কমিউনিটি সেন্টারে করবো কি না অথবা তাদের যে নির্দিষ্ট সোসাইটি আছে, সেখানে ফ্ল্যাট বা বাড়ির নিচে এনে তাদেরকে ভোটার করা যায় কি না। এসব বিষয় আমরা বিবেচনা করবো।
সারাবাংলা/জিএস/এনএইচ