Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নুসরাত হত্যা মামলা: পৌর কাউন্সিলরসহ ২ আসামি গ্রেফতার


১২ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০৩ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩০

ঢাকা: ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামি পৌর কাউন্সিলর মুকসুদুল আলম ও তার সহযোগী মো. সাখাওয়াত হোসেন জাবেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টার দিকে কাউন্সিলর মুকসুদুল আলমকে ঢাকা এবং তার সহযোগীকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। তথ্যটি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মনিরুজ্জামান।

বিজ্ঞাপন

থানার ভেতরে নুসরাতের ভিডিওধারণ সাইবার ক্রাইম, বললেন আইনজীবীরা

তিনি বলেন, ‘নুসরাত হত্যা মামলায় জড়িত অভিযোগে সোনাগাজী পৌর কাউন্সিলর মুকসুদুল আলম ঢাকা ও তার সহযোগীকে  চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

তাদের ফেনীতে আনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকে পরে জানানো হবে।’

এই মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে সাত দিনের রিমান্ডে আছেন। এছাড়া ওই মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন এবং নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নুর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও শাহিদুল ইসলামের প্রত্যেককে পাঁচ দিনের রিমান্ড চলছে।

পাশাপাশি রিমান্ডে আছে নুসরাতের সহপাঠী ও মামলার প্রধান আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার ভাগনী উম্মে সুলতানা পপি ও আরেক মাদরাসা শিক্ষার্থী জোবায়ের আহমেদ।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। ওইদিন নুসরাতকে পরীক্ষাকেন্দ্রের ছাদে নিয়ে বোরখাপরা চারজন তাকে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ৫ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

সারাবাংলা/এসএইচ/এমও

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর