ঢাকা: ফেনীর সোনাগাজীর দগ্ধ মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহার রাফির হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর সড়কে নেমেছেন হাজারো মানুষ। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এই মানববন্ধন শুরু হয়।
বঙ্গভবন থেকে গণভবন পর্যন্ত এই মানববন্ধনের পথ ধরা হয় রাজউক ভবন-দৈনিক বাংলার মোড়, পল্টন মোড়, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, কাঁটাবন, বাটা সিগন্যাল, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি-কলাবাগান হয়ে আসাদগেট।
তবে সরেজমিনে দেখা গেছে এসব এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে মানববন্ধন পালন করা হয়েছে। অর্থাৎ টানা লাইন না হয়ে এই পথের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বঙ্গভবনের পাশে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ফটকে মানববন্ধনে অংশ নেয় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, হকার্স ইউনিয়ন ও গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। এতে অংশ নেন সাধারণ মানুষও।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ২০ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সপ্তাহ পালনের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এটি শুধু সিপিবির কর্মসূচি নয়, এটি দেশের সব মানুষের কর্মসূচি। দল মত নির্বিশেষে সব মানুষ এতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে নারী নির্যাতন দূর করবে।
নুসরাতকে নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘এটা কোনো বিচ্ছন্ন ঘটনা নয়, এদেশে সারাবছরই ধর্ষণের উৎসব চলে। এসব ধর্ষণের শিকার হয় মূলত শিশুরা। কারণ অপরাধী জানে এদেশে কোনো অপরাধেরই বিচার হয় না। সরকার আর সরকারি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলেই সব অপরাধ মাফ। এরা যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন সেই দলের সঙ্গে যোগ দেয়।’
যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের আশা প্রকাশ করে সিপিবির সভাপতি বলেন, ‘আমরা অন্ধকার থেকে দেশকে আলোর দিকে নিয়ে যেতে চাই।’
এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেও একই দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নেন সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন। এগুলোর মধ্যে ছিল উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, ফেনী সমিতি ইত্যাদি।
সারাবাংলা/টিএস/জেএ/এসএমএন