Sunday 20 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অ্যাসাঞ্জকে বের করার কারণ গুপ্তচরবৃত্তি ও শারীরিক অসুস্থতা!


১৫ এপ্রিল ২০১৯ ১০:০৬
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ছবিতে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ও লেনিন মোরেনো

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো বলেছেন, লন্ডন অ্যাম্বাসি থেকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে বের করে দেওয়া হয়েছে শরণার্থী নিয়মনীতি ভঙ্গের কারণে। অ্যাসাঞ্জ অ্যাম্বাসি কক্ষে বসে গুপ্তচরবৃত্তির কলকব্জা নাড়তেন। এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাসাঞ্জের শরীর-স্বাস্থ্যও ভালো যাচ্ছিলো না।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব অভিযোগ তুলেন মোরেনো। তবে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী জেনিয়ার রবিনসন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানান, অ্যাম্বাসিতে পুলিশ ঢুকিয়ে অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ধামাচাপা দিতেই ইকুয়েডর প্রেসিডেন্ট এ ধরনের কথা বলছেন।

লেনিন মোরেনো আরও বলেন, আশ্রয় থেকে অ্যাসাঞ্জকে বের করে দেওয়ায় বাইরের কোনো দেশের চাপ ছিল না। তার আগের সরকার অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ কাজে হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দিতে অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দিয়েছিল। তিনি অন্য কোনো দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে অস্থির করার সুযোগ কাউকে করে দিতে পারেন না।

বিজ্ঞাপন

দৃষ্টি আকর্ষণ: মেসেঞ্জার-ইনবক্সে খবর জানাবে সারাবাংলা News BOT

গত ১১ এপ্রিল যুক্তরাজ্যের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে জোর করে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিশ। অস্ট্রেলীয় নাগরিক অ্যাসাঞ্জের প্রতিষ্ঠিত উইকিলিকস গোপন মার্কিন গোপন নথি প্রকাশ করে ২০১০ সালে আলোচনায় আসে। তার ওপর ক্ষুব্ধ হয় যুক্তরাষ্ট্র। সে বছরই দুই সুইডিশ নারীকে যৌন হয়রানির (সম্মতি কিন্তু অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্কের) অভিযোগে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ডিসেম্বরে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করা হয় লন্ডনে এবং জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর, ২০১১ সালে অ্যাসাঞ্জ আপিল করেছিলেন যাতে তাকে সুইডেনের কাছে প্রত্যর্পণ করা না হয়, তবে আদালত তা খারিজ করে দেন।

সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতার এড়াতে তৎকালীন ইকুয়েডর প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেরা তার দেশের লন্ডন অ্যাম্বাসিতে ২০১২ সালে অ্যাসাঞ্জকে থাকার সুযোগ করে দেন। সে থেকেই লন্ডনের ইকুয়েডর অ্যাম্বাসিতে শরণার্থীর আশ্রয়ে থাকছেন অ্যাসাঞ্জ। প্রায় সাত বছর ধরে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে শরণার্থীর আশ্রয়ে ছিলেন তিনি।

তবে ইকুয়েডরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলায়। বর্তমান ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চান বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি অ্যাসাঞ্জের শরণার্থী মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিলে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় লন্ডন পুলিশের।

অ্যসাঞ্জ জামিন নিয়ম না মেনে চলায় লন্ডনে তার এক বছর কারাদণ্ড হতে পারে। এছাড়া, রয়েছে তাকে সুইডেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাকে প্রত্যর্পণের ঝুঁকি। এদিকে অ্যাসাঞ্জের ঘটনায় সরব বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে অ্যাসাঞ্জকে হয়রানি করছে।

সারাবাংলা/এনএইচ

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ লেনিন মোরেনো

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর