চূড়ান্ত সম্মতি পেয়েছে বিতর্কিত ইইউ কপিরাইট আইন
১৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৫৭
বহুজাতিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও শিল্পীদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো নতুন ডিজিটাল কপিরাইট আইন বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে। তবে নিরাপত্তার জালে অনেক মৌলিক কনটেন্ট আটকা পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। আইনের বিরোধিতাকারীরা ইউরোপের বিভিন্ন শহরে করেছেন বিক্ষোভ। খবর ডয়েচে ভেলের।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) জানানো হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৯টি দেশ নতুন প্রস্তাবিত আইনে সম্মতি দিয়েছে। তবে আইনের বিরোধিতা করেছে ৬টি দেশ। ইইউর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে ইন্টারনেটে অবাধ তথ্য প্রবাহ ও সৃজনশীল কাজে যেন প্রস্তাবিত আইনটি বাধা না হয়ে দাঁড়ায় সেই চেষ্টা করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কনটেন্ট আপলোডের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন হচ্ছে না। কোনো কোম্পানি কপিরাইটকৃত কনটেন্ট আপলোড করতে চাইলে সত্ত্বাধিকারীদের সঙ্গে চুক্তিপত্র করতে হবে। এছাড়া, গুগল নিউজের মতো সেবাকে অর্থ পরিশোধ করতে হবে কোম্পানিগুলোকে অনলাইন সার্চে তাদের ফলাফল দেখানোর জন্য। তবে এনসাইক্লোপিডিয়াসহ অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো গবেষণার কাজে আগের মতোই বিনামূল্য তথ্য সংগ্রহ করার সুবিধা পাবে। তবে যেসব কোম্পানির বার্ষিক আয় দশ মিলিয়ন ইউরোর কম তারে বাঁধা-ধরা নিয়ম থেকে মুক্তি পাচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ: মেসেঞ্জার-ইনবক্সে খবর জানাবে সারাবাংলা News BOT
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদ্যমান কপিরাইট আইনটি বেশ পুরনো, ২০০১ সালের। ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস তাই আইনটির সংস্কার করতে তাগিদ দিচ্ছিল ইইউকে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নিলো ইইউ দেশগুলো। তবে নিজেদের দেশে পুরোপুরি আইন বাস্তবায়নে দুই বছর পাবে ইইউ দেশগুলো।
কপিরাইট সংক্রান্ত এই আইনটি বাস্তবায়ন করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ইইউকে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হচ্ছে বিক্ষোভ-সমাবেশ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এই আইনের ফলে ‘আপলোড ফিল্টার’ নামে কোনো ফিচার অনলাইনে যুক্ত হলে প্রযুক্তির ভুলে অনেক মৌলিক কনটেন্ট বাতিল হতে পারে। যার দায় দিতে হবে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের।
সারাবাংলা/এনএইচ