Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি, দাবি মালিবাগের ব্যবসায়ীদের


১৮ এপ্রিল ২০১৯ ১০:৩৭

ঢাকা: মালিবাগ কাঁচাবাজারে আগুনে অন্তত ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি মালিবাগ বাজার বণিক সমবায় সমিতির।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে সমিতির কার্যকারী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নুরুল হক নুরু সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাজারের ২৬০টি দোকানের মধ্যে কোনোটিই আর অবশিষ্ট নেই। মাছ, মাংস, চাল, ডালসহ সব পুড়ে ছাই হয়েছে। বাজারে থাকা গরু-ছাগলও পুড়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সমিতির টাকা-পয়সা ছিল, প্রতিটি দোকানেই কমবেশি নগদ টাকা ছিল। সেগুলোও পুড়েছে। কোনো দোকানেই ৫০ হাজার টাকার কম জিনিস ছিল না। সব মিলিয়ে অন্তত পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি।’

কাঁচাবাজারের মাছ ব্যবসায়ী স্বপন বলেন, ‘খবর পেয়ে এসে দেখি বাজারের পশ্চিম পাশের প্লাস্টিকের দোকান থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এলেও পানি সংকট ছিল। খবর পাওয়ার আধা ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস এসেছে।’

দোকানে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার ইলিশ মাছ ছিল বলে জানান স্বপন। তিনি জানান, তার সব মাছ পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতিতে দিশেহারা স্বপন এখন চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন। হাছান নামের মাছের ব্যবসায়ীর দোকানে ৪৫ হাজার টাকার মাছ ছিল। সারাবাংলাকে এই ব্যবসায়ী জানান, তার দোকানেরও সব মাছ পুড়ে গেছে।

কেবল স্বপন বা হাছান নয়, অন্যান্য দোকানদারের বক্তব্যও একই। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভেতরে কিছুই অবশিষ্ট নেই। চাল-ডাল সবই পুড়েছে। পুড়ে ছাই হয়েছে ফল-মূলও।

ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (অপারেশন ও মেইন্টেন্যান্স) দিলীপ কুমার ঘোষ বলেন, ‘আগুনে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আমরা অনেককেই উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তদন্ত ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে না। তবে অন্তত ২০টি ছাগল পুড়েছে। বেশকিছু দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ। আগুনের কারণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

ফায়ার সার্ভিস ঢাকা জোন-৬-এর উপসহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, আগুন লাগার পর কিছুটা বাতাস তৈরি হওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কোনো হতাহত নেই। মোট ১৩টি ইউনিট কাজ করেছে।

চাল-ডাল-মাছ সবই পুড়ে ছাই

ফায়ার সার্ভিসের দেরিতে কাজ শুরু করা নিয়ে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কোনো গাফিলতি ছিল না। আমরা চারদিক থেকে পানি দিচ্ছিলাম। অনেক সময় এক পাইপ থেকে অন্য পাইপে সংযোগ দিতে দুয়েক মিনিট লাগে। যারা বলছে পানি নেই, তারা হয়তো সামনে থেকে দেখেছে। অথচ তার পেছনের অংশেই আমরা পানি দিচ্ছি। অর্থাৎ আমরা চারদিক থেকেই পানি দিয়েছি। এর মাধ্যমে আশপাশের ভবনগুলো রক্ষা করেছি।’

এর আগে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। প্রথমদিকে স্থানীয়রা আগুন নেভাতে পানি দেওয়া শুরু করে। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আনুমানিক সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে কাঁচাবাজারের আগুন নেভানো হয়।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এসএমএন

ক্ষয়ক্ষতি মালিবাগ কাঁচাবাজারে আগুন

বিজ্ঞাপন

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর