ড্রাইভারের বান্ধবীকে দিয়ে অপহরণ করা হয় রায়হানকে: র্যাব
১৮ এপ্রিল ২০১৯ ২০:২৭
ঢাকা: রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে অপহরণ হওয়া রায়হানকে (২৫) সাভারের আমিন বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এছাড়া অপহরণকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকেও আটক করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় কারওয়ানবাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪-এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আটক হওয়া পাঁচ অপহরণকারীর মধ্যে আছে- নুরু মিয়া ওরফে নুর ইসলাম (৬২), আজিজুল ইসলাম (৪০), লিটন মোল্লা (২৬), নজরুল ইসলাম বাবু (৪২) ও কাজল বেগম (২৬)।
মঞ্জুরুল কবির বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণকারীরা জানিয়েছে, রায়হানের কাছে বিদেশ যাওয়ার জন্য ৬ লাখ টাকা আছে এটা তার গাড়িচালক বাহার জানতো। এটা জানার পর বাহার তার বান্ধবী কাজলের কথা বলে রায়হানকে। রায়হান কাজলের ব্যাপারে আগ্রহী হলে তার সঙ্গে দেখা করার কথা বলে অপহরণ করে।’
র্যাবের সিও জানান, রায়হানকে ফেসবুকে কাজলের ছবি দেখায় ড্রাইভার বাহার। এরপর তাদের ফেসুবকে ও মোবাইল ফোনে কথা হয়। এরপর গত ১২ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১১টার দিকে রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে কাজলের গাড়িতে ওঠে রায়হান ও বাহার। তাকে আমিন বাজার এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে অপহরণকারী চক্রের বাকি সদস্যরা রায়হানকে জিম্মি করে তার ফোন থেকেই পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এ ঘটনার দুদিন পর অপহরণকারী চক্রকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন রায়হানের পরিবারের সদস্যরা।প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১ লাখ টাকা পাঠায় ও বাকি আরও ৪ লাখ টাকা পাঠানোর কথা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের কাছেও অভিযোগ করে পরিবারের সদস্যরা।
১৬ এপ্রিল অভিযোগ পেয়ে মাঠে নামে র্যাব। এক পর্যায়ে র্যাব বুঝতে পারে, রায়হানের ফোন থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছে। আর রায়হানককে সেসময় আমিন বাজারে রাখা হয়। এক পর্যায়ে ১৭ এপ্রিল রাতে ফোন ট্রাকিং করে কাজলকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে আমিনবাজারের একটি বাসা থেকে রায়হানকে উদ্ধার করে র্যাব। একই রাতে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের আরও চার সদস্যকে সাভার থেকে আটক করা হয়’ জানান র্যাব-৪ এর কমান্ডিং অফিসার।
এই চক্রটি আগেও এ ধরণের অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা টাঙ্গাইলের মধুপুর জঙ্গলে নিয়ে যায় অপহৃতদের। সেখান থেকে মুক্তিপণ আদায় করে অনেক ভিকটিমকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।’
এই চক্রের সঙ্গে মোট সাতজনকে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে জানিয়ে র্যাব সিও বলেন, ‘বাকি দুজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
সারাবাংলা/ইউজে/এমআই