Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লন্ডনে অর্থপাচার: তারেকের বন্ধু মামুনের ৭ বছরের কারাদণ্ড


২৪ এপ্রিল ২০১৯ ১২:৪২

ঢাকা: অর্থপাচারের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে পাচার করা ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামি গিয়াসউদ্দিন আল মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানায় দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

এ মামলার দণ্ডের পাশাপাশি মামুনের লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে থাকা মানি লন্ডারিং করা ৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৫৩ দশমিক ৪৭ বৃটিশ পাউন্ড, (বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা) রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বাজেয়াপ্তের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা ও সম্পত্তির তফসিলসহ সব বিবরণ সরকারি গেজেটে প্রকাশেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ টাকা লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে আদালত সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

এদিন দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। আর আসামিপক্ষে ছিলেন জাহেদুল ইসলাম কোয়েল, হেলাল উদ্দিন, আকবার হোসেন জুয়েলসহ অন্যরা।

পরে দুদকের পক্ষের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, আদালত মানিলন্ডারিং আইন ২০০২-এর ১৩ (২) ধারা অনুযায়ী আদালত সর্বোচ্চ দণ্ড দিয়েছেন। রায়ে আমরা সন্তুষ্ঠ। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহেদুল ইসলাম কোয়েল জানান, এ আদেশের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।

এর আগে, গত ৮ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ বুধবার দিন নির্ধারণ করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুব আলম, দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। অন্যদিকে আসামি পক্ষে আসাদুজ্জামান, জাহেদুল ইসলাম কোয়েল ও হেলাল উদ্দিন যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলীর রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের টেন্ডার পান। কিন্তু কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় মামুন তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। তা না পেলে কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন। ওই হুমকি দিয়ে মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ৬ কোটি, ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা নেন। পরে তা বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করেন।

ওই অভিযোগে ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক। ২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলাটির চার্জশিটভুক্ত ১০ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আসামির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে আরেকটি অর্থপাচার মামলায় ২০১৩ সালে এ আসামির ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন একই আদালত। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়।

২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

অর্থপাচার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন তারেক রহমান লন্ডনে অর্থপাচার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর