উচ্ছ্বল জায়ানের নিষ্প্রাণ ফেরা
২৪ এপ্রিল ২০১৯ ১৩:২০
ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি শিশু জায়ানের মরদেহ পৌঁছেছে দেশে। ইস্টার সানডে’র দিনে শ্রীলংকার সিরিজ বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল পরিবারের সঙ্গে শ্রীলংকায় বেড়াতে যাওয়া জায়ান।
আরও পড়ুন- কাঁদলেন শেখ হাসিনা-শেখ সেলিম
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় আট বছর বয়সী জায়ানের মরদেহ বহনকারী শ্রীলংকান এয়ারলাইন্সের ইউএল ১৮৯ নম্বর ফ্লাইট। পরে দুপুর ১টা ৮ মিনিটে বনানীর বাসভবনের পথে রওনা দেন জায়ানের স্বজনরা।
শ্রীলংকা থেকে আসা নিথর জায়ানকে গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে ছিলেন তার নানা শেখ সেলিমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
রোববার (২১ এপ্রিল) খ্রিষ্টানদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইস্টার সানডেতে শ্রীলংকায় চারটি গির্জায় প্রার্থনারতদের ওপর বোমা হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি বোমা হামলা চালানো হয় তিনটি অভিজাত হোটেল ও একটি বাড়িতে। ওই হামলাগুলোর একটিতেই প্রাণ হারায় শিশু জায়ান।
আরও পড়ুন- শ্রীলংকায় বোমা হামলায় নিহত শেখ সেলিমের নাতি, আহত জামাতা
শেখ সেলিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শেখ সেলিমের মেয়ে আমেনা সুলতানা সোনিয়া তার স্বামী মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স ও দুই ছেলেকে নিয়ে শ্রীলংকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। তারা কলম্বোর পাঁচ তারকা হোটেল সাংগ্রিলায় উঠেছিলেন। সকালে বড় ছেলে জায়ান চৌধুরীকে নিয়ে হোটেলে নাস্তা করতে গিয়েছিলেন প্রিন্স। একই সময়ে ছোট ছেলে জোহানকে নিয়ে হোটেল কক্ষে অবস্থান করছিলেন আমেনা সুলতানা সোনিয়া।
ইস্টার সানডের ওই সকালে যে তিনটি হোটেলে সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়, তার মধ্যে ছিল হোটেল সাংগ্রিলাও। জায়ানকে নিয়ে প্রিন্স যখন নাস্তা করতে নেমেছিলেন, হামলাটি ঠিক সেই সময়ই ঘটে। তাতে আহত হয়েছে এখন হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন প্রিন্স। আর শিশু জায়ানের স্পন্দন থেমে যায় ওই সময়ই।
রোববারের (২১ এপ্রিল) শ্রীলংকায় স্মরণকালের ভয়াবহ এই বোমা হামলার সর্বশেষ ৩৫৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি। হামলার একদিন পর গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এই হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
সারাবাংলা/এমএমএইচ/এসজে/এসএমএন