Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাবি মান কমাবে না কি কলেজগুলো তাদের মান বাড়াবে?


২৬ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:৪০

৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: পরীক্ষায় ফল বিপর্যয় প্রসঙ্গে সাত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেছেন, যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি সাত কলেজের মানে নামবে, না কি ওরা আমাদের মানে উঠবে?

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে সারাবাংলার সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন। শিবলী রুবায়াত বলেন, “ওদের প্রধান দাবি পাস করা বিষয়ক। এখন আমরা কি সাত কলেজের মানে নামবো, না কি ওরা আমাদের মানে উঠবে এটাই প্রশ্ন। ওরা এখন আমাদেরকে নামাতে চাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাশ করানোর জন্য কী করবে সেটা ভাবছে। আমরা ওদের খাতাগুলো পুনর্মূল্যায়ন করবো, দেখা যাক কী হয়।”

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীদের মানের প্রশ্নে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের এই শিক্ষক বলেন, “পাস ফেলের সঙ্গে ছাত্রদের মানের একটা প্রশ্ন থাকে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ফল বিপর্যয় হয়, তবে সেখানে বড় কোনো দুর্ঘটনার কারণ থাকে। ওদের খাতা দেখার সময় আমরা ওদের মান বুঝতে পারি।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দেওয়া পাঁচ দফা দাবি না মানলে আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে ফের আন্দোলনে নামবে শিক্ষার্থীরা। রাস্তা অবরোধ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী সমাবেশ এবং গণঅনশন কর্মসূচির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী কাজী নাসির।

পলিটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের এই শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের ভাগ্য নিয়ে এক রকম রসিকতা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এটা মানের প্রশ্ন নয়। আমরা যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি তারাও যথেষ্ট মেধাবী। মূল সমস্যা হলো, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা এক রকম না। এখানে জট পাকিয়ে গেছে। আমার মনে হয়, আলোচনা ও সঠিক কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করে এই সমস্যার সমাধান করা জরুরি।”

বিজ্ঞাপন

কাজী নাসির জানান, এই সমস্যা সমাধানের জন্য শনিবার (২৭ এপ্রিল) স্মারকলিপি দেবে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর দিন সাত কলেজের সাত অধ্যক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। সেখানেই ফেল করা এসব শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

এ ব্যাপারে শিবলী রুবায়াত বলেন, “মিটিং হবে তবে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। খাতা পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্তই হয়তো হবে।”

নাসির আরও বলেন, “মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থদের বিরুদ্ধে গেলে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা লাগাতার আন্দোলন শুরু চালিয়ে যাব।”

আরও পড়ুন: ৭ কলেজের আন্দোলনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত ২৯ এপ্রিল

এর আগে যা হয়েছিল

সেশনজট নিরসন, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, ত্রুটিমুক্ত ফলাফল প্রকাশসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে নীলক্ষেত মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। গতকালও (বুধবার) তারা সড়ক অবরোধ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসে তাদের দাবি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিলে ২৯ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার।

সারাবাংলা/টিএস/এটি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর