খেলাধুলায় উৎকর্ষে যা যা করণীয় সরকার করবে, প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদা
২৭ এপ্রিল ২০১৯ ২২:২৮
ঢাকা: খেলাধুলায় আরও বেশি উৎকর্ষ অর্জনে সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সবকিছু করার ওয়াদা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মযার্দা নিয়ে এগিয়ে যাবে। বাঙালি জাতি বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। খেলাধুলায় আরও বেশি উৎকর্ষ অর্জন হোক, সেটাই আমি চাই। আর এজন্য যা যা করণীয়, আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে তা করব— এই ওয়াদা দিয়ে গেলাম।
আরও পড়ুন- ‘আজ হারলে কাল জিতব, এই কথা মনে রাখতে হবে’
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১৯’-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
‘বঙ্গবন্ধুর চেতনায় গড়ি মাদকমুক্ত বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো মাসব্যাপী এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের ৬৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, অ্যাথলেটিক্স, সাঁতারসহ ১০টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সমপানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন, রানার-আপ ও সেরা খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার, ক্রেস্ট ও প্রাইজমানির চেক তুলে দেন।
সরকারের টানা মেয়াদে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের খেলাধুলার এই প্রতিযোগিতা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে স্কুল পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আর সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতা শুরু হলো। একইভাবে আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতাও করতে হবে। এই চলার পথ থেকেই আমরা অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় পাব, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতার যোগ্যতা অর্জন করবে। আর একসময় আমরা বিশ্বকাপ জয় করব। সেভাবে আমরা ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার অভ্যাসটা গড়ে তুলতে চাই।
আরও পড়ুন- বঙ্গবন্ধু চ্যাম্পে গতির রাজা উজ্জ্বল, রাণী তামান্না
জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সব স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস, মাদক-দুর্নীতি সমাজের ক্ষত। কারণ এই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের কারণে কত নিরীহ মানুষ জীবন দিচ্ছে। এর থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত রাখতে হবে, সমাজকে মুক্ত রাখতে হবে। কাজেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের যাদের মেধা-মনন রয়েছে, তাদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ আমরা করে দিচ্ছি। এর মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, সেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব। কারণ তিনি বলেছিলেন, আমাদের তরুণ সমাজ, যুব সমাজ— এরাই সোনার বাংলা গড়ার সোনার ছেলেমেয়ে। সেই সোনার ছেলেমেয়ে আামদের গড়ে উঠবে এবং দেশকে ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে এই ছেলেমেয়েদেরই কেউ মন্ত্রী হবে, এমপি হবে, কেউ প্রধানমন্ত্রী হবে। তাদের কেউ সমাজসেবক হবে, কেউ শিক্ষক হবে, কেউ ক্রীড়াবিদ হবে। সেভাবে আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত গড়ে তুলতে চাচ্ছি। দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হারানোর পর যে মর্যাদা হারিয়েছিলাম, আজ সেই মর্যাদা আবার ফিরে এসেছে।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নাহিম রাজ্জাকসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব জাফর উদ্দিন।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর
খেলাধুলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ