Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভাড়া জাহাজের পেছনে বছরে সরকারের ব্যয় ২৪০০ কোটি টাকা


৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩১

ঢাকা: আমাদানি-রফতানি পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশকে বিদেশি জাহাজের উপরে নির্ভর করতে হয় জানিয়ে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এর জন্য বছরে সরকারের ব্যয় হয় ২৪০০ কোটি টাকা। তবে বিদেশি জাহাজের উপরে নির্ভরতা কমাতে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান তিনি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংসদে উত্থাপিত ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান নৌ প্রতিমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজ বহরে বর্তমানে সাতটি জাহাজ রয়েছে এবং ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আরও একটি নতুন জাহাজ যুক্ত হবে। এসব জাহাজের প্রতিটির ধারণক্ষমতা ৩৯ হাজার টিইউ।

শিপিং করপোরেশনে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে আরও ৩২টি জাহাজ সংযোজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে দুইটি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার, দুইটি মাদার ট্যাংকার, ১৮টি বাল্ক ক্যারিয়ার, ছয়টি এলএনজি ক্যারিয়ার ও চারটি সেলুলার কন্টেইনার।

বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে পাঁচ টিইউর বেশি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজের রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে এনবিআর আরোপিত ভ্যাটের ১৫ শতাংশ মওকুফ করেছে।

দেশের আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে সরকারি খাতে পরিবহন সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন স্বল্প মেয়াদে ২০২১ সালের মধ্যে দুইটি নতুন মাদার ট্যাংকার এবং দুইটি নতুন ডিজেল পরিবহন উপযোগী প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার এবং দুইটি তেল পরিবহন উপযোগী মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার সংগ্রহের চেষ্টা করছে।

বেনজীর আহমেদে অপর আরেকটি প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বিআইডব্লিউটিসির অধীনে ফেরি ঘাটের সংখ্যা ১০টি। পাটুরিয়া সেক্টরে ২০টি, শিমুলিয়া সেক্টরে ১৮টি, চাঁদপুর সেক্টরে পাঁচটি, ভোলা সেক্টরে ৩টিসহ মোট ৫০টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করে। এ বছরের শেষ নাগাদ আরো দুইটি কে-টাইপ ফেরি বহরে যুক্ত হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসএমএন

পণ্যবাহী জাহাজ প্রশ্নোত্তর পর্ব বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন সংসদ অধিবেশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর