Friday 18 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ধেয়ে আসছে ফণী, প্রস্তুত কক্সবাজার


২ মে ২০১৯ ১৪:৫৮ | আপডেট: ২ মে ২০১৯ ১৫:০৮
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কক্সবাজার: বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। আর এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজারের প্রশাসন।

ঘূর্ণিঝড় ফণীকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সভা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইনশৃংখলাবাহিনী সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তারা।

জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৩৮টি আশ্রয় কেন্দ্র। এছাড়া সকল স্কুল, কলেজ, মাদরাসা প্রস্তুত রাখা হয়েছে যেন প্রয়োজনে সেগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সিপিপি’র ৬ হাজার ৪৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও মাঠে প্রস্তুত রয়েছে রেডক্রিসেন্টের ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক।

বিজ্ঞাপন

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মহিউদ্দীন মোহাম্মদ আলমগীর জানান, পুরো জেলায় ৮৯ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া সেন্টমার্টিনের জন্য আলাদা একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

গতি বেড়ে আরও শক্তিশালী ফণী, আঘাত হানবে শুক্রবার সন্ধ্যায়

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, সদর, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, মহেশখালীসহ জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় অত্যাধুনিক যন্ত্র নিয়ে বাহিনীর কর্মীসহ প্রায় এক হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।

জরুরি প্রয়োজনে খাবার মজুদের ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক জানান, ফণীকে কেন্দ্র করে ৪০০ মেট্রিকটন চাল মজুদ রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার রাখা হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার প্যাকেট। প্রত্যেকটি প্যাকেটে একটি পরিবারের জন্য ১০ দিনের খাবার রয়েছে।

বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ব্যাপারে ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম আজাদ জানান, উখিয়া-টেকনাফের ৩২ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করা সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রেডক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে ৭০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীকে কেন্দ্র করে সমুদ্রের তীরে কোনো পর্যটককে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা। জোরদার রয়েছে টুরিস্ট পুলিশের পাহারা।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, শুক্রবার (৩ মে) দুপুরের পর থেকে ফণীর প্রভাব শুরু হতে পারে। আর ওই সময়কে কেন্দ্র করে সার্বিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। ফণীর প্রভাবে ইতিমধ্যেই সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।

সারাবাংলা/এসএমএন

কক্সবাজার ঘূর্ণিঝড় ফণী রোহিঙ্গা ক্যাম্প

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর