ঢাকায় ঘূর্ণি বাতাস, আকাশে মেঘ, দুপুরে ভারী বৃষ্টি
৪ মে ২০১৯ ১১:১২
ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে শনিবার সকাল থেকেই বৃষ্টির মুখোমুখি হতে হয়েছে রাজধানীর বাসিন্দাদের। সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘূর্ণি বাতাস। শনিবার (৪ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের সকালের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ঢাকায় আজ সারাদিনই নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বৃষ্টি পড়বে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণও বাড়তে পারে। একইসঙ্গে রয়েছে বজ্রপাতের সম্ভাবনা।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক সারাবাংলা বলেন, বিশ দিন পর শুক্রবার ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে, সেটি আজও চলমান থাকবে। তবে আজকে লাগাতার বৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুপুরের দিকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। হতে পারে বজ্রপাতও ।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ফণী: আবহাওয়া দফতরের সবশেষ আপডেট
এদিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন নগরের কর্মজীবী মানুষ। বৃষ্টি আর ঝড়ো বাতাসের কারণে আজ রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। রাস্তায় সিএনজি অটোরিক্সা ও মোটরবাইকের সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো কম। এছাড়া রাত থেকে চলা বৃষ্টিতে শহরের অনেক জায়গায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রাশেদ হাসান চৌধুরী বলেন, আমার অফিস মতিঝিলে, সকাল দশটায় অফিস টাইম হলেও এখনো আমি মিরপুর থেকে শাহবাগে পৌঁছুতে পারিনি। কারণ গাড়ির স্বল্পতা। বাসে উঠার জন্য সকাল থেকে প্রায় একঘন্টা সময় আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফণী সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা হয়ে উত্তর পূর্ব দিকে এগুচ্ছে
তবে বৃষ্টির কারণে সবচে বেশি বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ছোট পুঁজির ভ্রাম্যমান ব্যবসায়িদের পণ্য ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।
সজীব ও সীমা নামের দুই ছিন্নমূল দুই শিশু এই প্রতিবেদককে জানায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারা যেখানে ঘুমোতে যেত সেই জায়গায় তাদের বিছানা বালিশসহ চা বিক্রির বিভিন্ন সরঞ্জাম ভিজে গেছে। ফলে ঘর সামলানোর সংকটে পড়ে দশের কাছাকাছি বয়সের এই দুই ভাইবোন রাতে ঘুমোতে পারেনি।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর, ভেড়ামারায় ফণী, কমেছে ঝুঁকি
এছাড়াও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট ও হাইকোর্ট মাজার এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষদের কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা খাবারও বিক্রি করতে পারেনি অনেকে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক জানিয়েছেন, ফণীর প্রভাবে দেশজুড়ে চলা বৈরি আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে রোববার বিকেল পর্যন্ত। তিনি জানান, ফণীর প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই সারাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও চলছে ভারী বর্ষণ।
একইসঙ্গে ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে সতর্কও করেছেন তিনি।
সারাবাংলা/টিএস/জেডএফ
।