দুই সিটির প্রধান নির্বাহীকে আদালতে তলব
৫ মে ২০১৯ ১৬:২২
ঢাকা: ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে আদালতের দেওয়া আদেশ অমান্য করার কারণ ব্যাখ্যা চেয়ে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট বিভাগ। আগামী ১৫ মে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে হবে।
রোববার (৫ মে) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরুন্নাহার।
শুনানি শেষে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রুটিন ওয়ার্ক দেখে আদালত সন্তুষ্ট না। তাদের প্রতি নির্দেশনা ছিল, ধুলা নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন তারা শহরে দুইবার করে পানি ছিটাবে। করপোরেশনের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া কাগজপত্র অনুযায়ী, তাদের রুটিন ওয়ার্ক দেখে আদালত সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার আরও বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং তাদের দফতরের নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেকটা বড় শহরগুলোতে, বিভাগীয় শহরগুলোতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকার কথা। এই মামলা পরিচালনার সময় আমরা দেখেছি, আদালতের আদেশ রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র হলো, ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোতে পদ রয়েছে- কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেটদের পাওয়া যায় না। এ জন্য আদালত বলেছেন, যেন পরিবেশ সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে বিধি অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট পদায়নে পদক্ষেপ নেবেন।
এর আগে
গত ২৮ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার বায়ু দুষণরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন একই আদালত। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত বায়ুদুষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়েছিল।
ঢাকার যেসব এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে, সেসব এলাকাকে প্রধান্য দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আদেশ দেন আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তাদের এই আদেশ পালন করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১০ এপ্রিল পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক জিয়াউল হককে তলব করেন আদালত। ওই দিন ঢাকার বায়ু দূষণের মাত্রা পরিমাপ করে দূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণে শীর্ষে বাংলাদেশ, রাজধানী হিসেবে ঢাকা দ্বিতীয়
সারাবাংলা/এটি