বান্দরবানে সন্ত্রাসীর গুলিতে আরও একজন নিহত
১০ মে ২০১৯ ০৩:৫৮
বান্দরবান: সন্ত্রাসীদের গুলিতে বান্দরবানে জনসংহতি সমিতির সমর্থক জয় মনি তঞ্চঙ্গ্যা (৫২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুহালং ইউনিয়নের কিবুক ছড়ার ৩ নং রাবার বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি কুহালং ইউনিয়নের কিবুক ছড়ার বাসিন্দা। জনসংহতি সমিতির স্থানীয় নেতা রিপন তঞ্চঙ্গ্যাকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তার বাবাকে গুলি করে হত্যা করে।
এরআগে গত মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে একদল সন্ত্রাসী রাজবিলা ইউনিয়নের তাইংখালী এলাকায় হানা দিয়ে জনসংহতি সমিতির আরেক কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যা নামে একজনকে অপহরণ করে। এখনো সেই অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি টহল দল অভিযানে নেমেছে। একই জেলায় আগের এক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পার্শ্ববর্তী এলাকা কিবুক ছড়ায় আবারো গুলিতে প্রাণ হারান আরকজন।
এ বিষয়ে কুহালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সানু প্রু মারমা জানান, অন্ত্রধারী কয়েক জন সন্ত্রাসী ৩ নং রাবার বাগান এলাকার তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় হানা দিয়ে জনসংহতি সমিতির স্থানীয় নেতা রিপন তঞ্চঙ্গ্যাকে (২৮) খোঁজ করে। তাকে ঘরে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তার বাবা জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। নিহত জয়মনি এলাকায় লাকড়ি ও কাঠের ব্যবসা করতো। এ ঘটনার পর কিবুক ছড়া ও রাজবিলা এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক উৎকণ্ঠা বেড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটচ্ছে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি ও তাদের সহযোগী সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা।
তবে কারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা এখনা জানা না গেলেও জনসংহতি সমিতির নেতারা মনে করছেন, মিয়ানমারের দলছুট বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান লিবারেশন আর্মির (এএলপি) সদস্যরা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। গ্রুপটি স্থানীয়ভাবে মগ বাহিনী নামেও পরিচিত। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গেছে। লাশ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। তবে কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা এখনোই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
সারাবাংলা/এআই