ডালডায় ভেজে, কাপড়ের রঙ মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছে ‘সুস্বাদু’ জিলাপি
১১ মে ২০১৯ ০২:২৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ডালডা দিয়ে ভেজে ‘ঘিয়ে ভাজা জিলাপি’ বলে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার জিলিপির রঙ লাল করতে মেশানো হচ্ছে কাপড়ের রঙ। জিলিপি ছাড়াও ইফতারির লোভনীয় আরও বিভিন্ন পদ আগেই তৈরি করে রেখে দেওয়া হয়েছে ফ্রিজে। ২-৩ দিন পর সেই বাসি খাবার শুধুমাত্র তেলে ভেজে বিক্রি করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১০ মে) দিনভর চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় ইফতারির বাজার মনিটরিংয়ে গিয়ে এই চিত্র পেয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
নগরীর জিইসি মোড়ে অভিজাত রেস্তোরাঁ বাসমতি এবং জামান রেস্টুরেন্ট মেজবানি অ্যান্ড কাবাব-এ অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার তাহমিলুর রহমান মুক্ত এবং তৌহিদুল ইসলাম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাসমতি রেস্টুরেন্ট ঘিয়ে ভাজা জিলাপি বিক্রি করছে। কিন্তু রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকে দেখা গেছে, সেখানে ফ্রিজে রাখা আছে ডালডা। আমরা প্রমাণ পেয়েছি তারা ডালডা দিয়ে ভাজা জিলাপি বিক্রি করছে। এর চেয়েও মারাত্মক যে অপরাধ তারা করেছে, বিভিন্ন ইফতারির আইটেম তারা আগেই মসলা মেখে রেখে দিয়েছে ফ্রিজে। এমনকি তিনদিন আগের আইটেমও তাদের ফ্রিজে রাখা আছে। সেগুলো শুধু গরম তেলে ভেজে বিক্রি করা হয় যা মানুষের মধ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।’
তাহমিলুর রহমান মুক্ত সারাবাংলাকে জানান, বাসমতি এবং জামান উভয় রেস্তোরাঁতেই ফ্রিজে রান্না করা গরু ও মুরগির মাংসের সঙ্গে রাখা হয়েছে কাঁচা মসলা। নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুযায়ী, এটা দণ্ডনীয় অপরাধ। অভিযানে বাসমতি রেস্টুরেন্টকে ৫০ হাজার টাকা এবং জামান রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বাসি খাবার, মাংস ও ডালডা জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।
গত বছরও রমজানে একই অভিযোগে বাসমতি রেস্টুরেন্টকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তৌহিদুল ইসলাম।
এদিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট বাজারে বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমীন। তিনি জানান, কাপড়ের রঙ মিশিয়ে জিলাপি, আলুর চপ ও বেগুনি তৈরির প্রমাণ পেয়ে একটি দোকানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কলার অতিরিক্ত দাম নেওয়ায় একজন বিক্রেতাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/এটি