Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ওয়াসার পানি পরীক্ষার প্রতিবেদন না দেওয়ায় হাইকোর্টের অসন্তোষ


১৩ মে ২০১৯ ১৫:১৭

ঢাকা: আদালতের নির্দেশনার সাত মাস পরও ঢাকা ওয়াসার কোন কোন এলাকার পানি সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল না করায় অসন্তোষ জানিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অসন্তোষ জানান।

ওয়াসার পানি পরীক্ষায় যে অর্থ খরচ হবে, তা নির্ধারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আগামী ১৫ মে বুধবারের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

ঢাকা ওয়াসার অনিরাপদ পানি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজ ১৩ মে দিন ধার্য্য ছিল। কিন্তু ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষায় প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। এ সময় আদালত অসন্তোষ জানিয়ে বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসার ১১টি পানির জোন রয়েছে। প্রত্যেকটি থেকে ২ বোতল করে পানি নিয়েই তো করা যায়। কিন্তু কোনো কথাই শুনছে না স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। তারা (স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়) হাইকোর্টকে হাইকোর্ট দেখাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন আদালত।

শুনানিকালে আদালত রিটকারী আইনজীবীর কাছে অনিরাপদ পানি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বেশ কিছু প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ওসব প্রতিবেদনে ঢাকার ১৬ এলাকার ওয়াসার পানি ব্যবহারের একেবারে অনুপযোগী বলে জানানো হয়।

পরে পানি পরীক্ষায় যে অর্থ খরচ হবে তা প্রতিবেদন আকারে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তখন ওয়াসার পক্ষ থেকে খরচ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলে ৭ দিন সময় চাওয়া হয়। আদালত আগামী ১৫ মে’র মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আদালত বলেন, বুধবারের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল না করলে অতিরিক্ত সচিবকে তলব করা হবে।

বিজ্ঞাপন

২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ অনিরাপদ উৎসের পানি পান করে। ৪১ শতাংশ পানির নিরাপদ উৎসগুলোতে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। ১৩ শতাংশ পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮২ শতাংশ। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে সে প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৬ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় পাইপের মাধ্যমে সরবরাহকৃত ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়াও, কমিটিকে পানি পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন।

সারাবাংলা/এজেডকে/জেএএম

ঢাকা ওয়াসা হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর