‘মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে’
১৪ মে ২০১৯ ০১:৩৮
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতির মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশের ফলে তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। একই সঙ্গে আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর মির্জা আব্বাসের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর মামলাটি বাতিলের জন্য মির্জা আব্বাস আদালতে ফৌজদারি রিভিশন আবেদন করেন। এরপর ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল ও তিন মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ রুলটি খারিজ করে রায় দেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে বাজারমূল্যের চেয়ে কম মূল্যে প্লট বরাদ্ধ দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতা এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ৬ মার্চ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অপর তিন আসামি হলেন- জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) মো. আজহারুল হক, মুনসুর আলম ও মতিয়ার রহমান। পরে দুদকের উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান তদন্ত শেষ করে মির্জা আব্বাসসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
প্লট বরাদ্দের মাধ্যমে আসামিরা প্রায় ১৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমও