কেন্দ্রীয় কমিটিতে ফের উপেক্ষিত জাবি ছাত্রলীগ, ক্ষোভ
১৪ মে ২০১৯ ১৩:৫৮
ছাত্রলীগের নবঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্যের হলেও তাতে স্থান পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মাত্র দু’জন ছাত্রনেতা। তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ছাত্রলীগের এই শাখার নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, বরাবরের মতোই এই কমিটিতেও জাবি শাখা ছাত্রলীগকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) বিকেলে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন- ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিরোধিতাকারীদের ওপর হামলা
জাবি ছাত্রলীগ সূত্রে জানায়, সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাবেক নেতা স্থান পেয়েছেন। এরা হলেন— সহসভাপতি পদে আরিফুল ইসলাম আরিফ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপসম্পাদক পদে মাহবুবুর রহমান সালেহী। এর আগের কমিটিতেও শুরুতে জাবি শাখার মাত্র দু’জন পদ পেয়েছিলেন। যদিও পরে আরও কয়েকজনকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য পদ দেওয়া হয় বলে জানান জাবি শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।
সূত্র জানায়, আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মাহবুবুর রহমান সালেহী ছাড়াও এবার বেশ কয়েকজন নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ প্রত্যাশী ছিলেন। এর মধ্যে মো. মুরশিদুর রহমান আকন্দ, হামজা রহমান অন্তর, নিশাত ইমতিয়াজ বিজয় প্রমুখের নাম জোরেশোরে উচ্চারিত হয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাদের স্থান হয়নি।
কমিটি ঘোষণার খবর প্রকাশিত হবার পর থেকে জাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তারা বলছেন, এই বিশাল কমিটিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ৩০১ সদস্যের কমিটি, পদত্যাগ করছেন ১০০ জন!
জাবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইমরান হোসেন লিখেছেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়জনকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে মূল্যায়ন করা হলো? হুদায় এরা রাজনীতি করে! যে গুটিকয়েকজনকে মূল্যায়ন করা হইছে এরা গুণেই হয়তো!… পোস্টেড হওয়ার প্রধান শর্ত ঢাবিতে পড়তে হবে!’
সাইফুল ইসলাম নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী লিখেছেন, ‘বরং শতভাগই ঢাবি দিতেন। কষ্ট করে ব্রাকেটে ২/১ টা নাম কেমন বেমানান না? বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবেন আপনারা, দেখলামই তো।’
পদপ্রত্যাশী মো. মুরশিদুর রহমান আকন্দ হতাশা জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘…. রাজনীতি করে দলের স্বার্থে, সংগঠনের স্বার্থে মিথ্যাকে নিশ্চুপ বরণ করে কারাবরণ করেছি। মমতাময়ী জননীর জন্য প্রাণটা দেওয়া বাদে সংগঠনের জন্য সব করেছি। চোখ দিয়ে অশ্রু গড়াচ্ছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা কমিটি করবার জন্য যেসব দিক মূল্যায়নের কথা বলেছেন, তার কোনো বিবেচনায় অযোগ্য হলে আজীবনের জন্য কারাবরণ করতে রাজি। কিন্তু এ কেমন সাজা!’
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ যাদের যোগ্য মনে করেছে, তাদেরকে পদ দিয়েছে। তবে আমি আশা করব, সামনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আরও বেশি পদ পাবে।
সারাবাংলা/টিআই/টিআর