৫৭ ধারার মামলায় আইনজীবী ইমতিয়াজ কারাগারে
১৫ মে ২০১৯ ১৬:০৮
ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে ফেসবুকে উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭-ধারায় দায়ের করা মামলায় আইনজীবী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইমতিয়াজ মাহমুদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৫ মে) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার ইমতিয়াজ মাহমুদের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন সকালে রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেফতার করে বনানী থানা পুলিশ। এরপর তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে, আদালতে ইমতিয়াজ মাহমুদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন, আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান (রচি), সাখাওয়াত হোসেনসহ অনেকে।
শুনানিতে ইমতিয়াজ মাহমুদের আইনজীবীরা বলেন, তিনি ( ইমতিয়াজ মাহমুদ) সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তার বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা ছিল। ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। হয়তো বা কোনো একটি কাগজ আদালতে না পৌঁছানোর কারণে এরকম হয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা তার জামিন চাচ্ছি।
তবে শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে ইমতিয়াজ মাহমুদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঐ মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক পোস্ট করেন ইমতিয়াজ মাহমুদ। ওই ঘটনায় শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তার নামে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭/২ ধারায় খাগড়াছড়ির সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ সম্প্রতি তার ফেসবুকে আইডিতে পাহাড় ইস্যুতে নানান মন্তব্য করেছেন। এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারীদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানো হয়েছে। বাঙালি জাতিকে হেয় করে সেটলার আখ্যায়িত করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ১ জলাই হতে ১০ জুলাই পর্যন্ত আসামির পোস্টগুলো উসকানিমূলক, যা পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য লেখা হয়।’
এদিকে, ৫৭-ধারাকে কালো আইন আখ্যা দিয়ে এই আইন বাতিল এবং কবি হেনরী স্বপন ও লেখক ইমতিয়াজ মাহমুদকে দ্রুত মুক্তির দাবিতে বুধবার বিকেলে শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে লেখক ও মুক্তমনা সংগঠনগুলো।
সারাবাংলা/এআই/ এনএইচ
আরও পড়ুন: তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ গ্রেফতার